Kailasahar Congress Bandh : ১১ই সেপ্টেম্বর কৈলা শহরে কংগ্রেস এর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছিল বনধ। ১২ ঘণ্টার এই বনধ কে সফল করতে বিধায়ক বিরজিত সিনহা আগে থেকেই বার্তা দিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক এদিন সর্বতোভাবে সফল হয়েছে বনধ। তবে কিছু কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত ঘটনা ও ঘটেছে বলে খবর উঠে এসেছে।
এদিন একদিকে সকাল থেকে কংগ্রেসিরা পিকেটিং করতে বেড় হয়। তো অন্যদিকে বিজেপি মণ্ডল ও যুবারা মিলে কয়েক হাজার বাইক নিয়ে মিছিল করতে করতে সকল কে বনধ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান। কিন্তু আঁখেরে দেখা যায় বেরিশভাগ অংশেই এই বনধ কে মান্যতা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে যারা অন্যান্য জেলা বা মহকুমা থেকে কৈলা শহর যানবাহন নিয়ে যাচ্ছিলেন তাদের মধ্যে বহু যান চালক দের কে আঁটকে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পুলিশ নাকি কিছু কিছু যানবাহন চালকদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে তাদের কে ছেড়ে দিয়েছে। অন্যদিকে একাংশ আবার গাড়ি চালক দের কে মারধোর ও করেছে, গাড়ি ভাংচুর ও করেছে। এই নিয়ে কিছু কিছু স্থানে উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হয়।
তবে এদিন সার্বিক ভাবে পুলিশ প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা কায়েম ছিল। যার ফলে দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোনো ধরণের সংঘাত ঘটার ঘটনা ঘটেনি। এদিকে পুলিশ সুপার সুধাম্বিকা আর জানিয়েছনে ছোট খাট বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটলেও কেউ হথাহত হননি। এধরণের বনধ অসাংবিধানিক। তবে শান্তি পূর্ণ ভাবে যাতে বনধ পালিত হয় সেই আহ্বান জানানো হয়েছে।
বনধের বিরোধিতায় রাস্তায় নামে ভারতীয় জনতা পার্টি। কৈলাসহর মন্ডলের সভাপতি প্রীতম ঘোষের নেতৃত্বে সকাল থেকেই কয়েক হাজার বাইক শহরের বিভিন্ন এলাকায় নেমে পরে এবং পরিদর্শন করে বিজেপি কর্মীরা। মণ্ডল সভাপতি প্রীতম ঘোষ বলেন—“ জনবর্জিত কংগ্রেস যে কর্মনাশা বনধের ডাক দিয়েছে তা প্রত্যাহার করার জন্য আমরা মানুষকে সচেতন করছি। সবাইকে কাজে ফেরার আহ্বান জানাচ্ছি।”
যদিও , শহরের পূর্ত দপ্তর, মহকুমা শাসকের অফিসের উর্দ্ধতন কর্তাদের উপস্থিতি ছাড়া তেমন আর কোনো কারো সমাগম দেখা যায়নি। সর্বত্রই দোকানপাট অধিকাংশ ক্ষেত্রে বনধ সমর্থনে বন্ধ দেখা যায়। সব মিলিয়ে কংগ্রেসের ডাকা এই বনধ সফল হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।