Jitendra Choudhury : ত্রিপুরার ধর্ম নগর মহকুমা গত ২৬শে নভেম্বর রাজনৈতিক সন্ত্রাসে উত্তপ্ত হয়ে উঠে। শান্তিপূর্ণ ভাবে চলমান সিপিআইএম এর সুসজ্জিত মিছিলে এক দল দুষ্কৃতী গেরুয়া পতাকা ও লাঠি হাতে নিয়ে হামলা চালায়। অভিযোগ উঠে এরা সকলেই ছিল ধর্ম নগরের বিজেপি দলীয় কর্মী।
ঘটনায় দুই বাম কর্মী তথা প্রাক্তন বাম বিধায়ক অমিতাভ দত্ত ও অপর এক জন গুরুতর আহত হন। তাদের সাথে সাথে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে এবং পরে জিবিপি হাসপাতালে রেফার করা হয়। এদের মধ্যে অমিতাভ দত্ত গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।
উনাকে দেখতে ঘটনার পরদিন ছুটে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। অতঃপর শনিবার ২৯শে নভেম্বর সন্ধ্যা রাতে জিবিপি তে যান বিরোধী দলনেতা তথা পলিটব্যুরো সদস্য জিতেন্দ্র চৌধুরী। উনি আহত দের খোঁজ নেন এবং সবিস্তারে ঘটনার বিবরন শোনেন।
এদিন আহত দের খোঁজ নিতে গিয়ে আক্রমণ কারী দের তীব্র ভাষায় ধিক্কার জানান বিরোধী দলনেতা। উনি বলেন, গত ২৬শে নভেম্বর কৃষক শ্রমিক দের বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে বামেদের আহ্বান করা মিছিলে ভারতীয় জনতা পার্টির কিছু গুণ্ডারা হামলা চালায়। উনি বলেন, বর্তমানে রাজ্যে বিজেপির শাসন কালে ত্রিপুরা রাজ্যে কোনো গণতন্ত্র নেই। রাজ্যে আইনের শাসন যে সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে এই ঘটনা তারই নিদর্শন।
তিনি বলেন, “ আরও দুর্ভাগ্যের , সেদিন কর্মরত পুলিশ দের সামনে বিনা বাধায় বিজেপির দুষ্কৃতীরা এই আক্রমণ চালায়। আরও দুর্ভাগ্যের বিষয়, আহতদের রক্ত স্নাত অবস্থায় দেখেও প্রশাসনিক আধিকারিকেরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান নি” ।
আহত রতন রায় এদিন ছুটি নিয়ে বাড়ি গেছেন। কিন্তু অমিতাভ দত্ত এখনো অনেকটা অসুস্থ্য। উনার মাথায় এখনো গুরুতর চোট আছে। উনি অমিতাভ দত্তের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করেন এবং আশা ব্যক্ত করেন আবারো সুস্থ্য হয়ে অমিতাভ দত্তের মতন নেতৃত্বরা রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এর লড়াই চালিয়ে যাবেন এবং বামেরা ও আগামী দিনে এই লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।



