Jitendra Chaudhury News : “ গণতন্ত্রের প্রতি কোনোদিনই শ্রদ্ধা ছিল না তাদের, আজো নেই , কাল ও থাকবে না – এই হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। “ – জিতেন্দ্র চৌধুরী ।
১৪ই নভেম্বর, বিহারে ঐতিহাসিক ভোটে জয়লাভ করে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তিত হয় বিজেপি এনডিএ জোট সরকার। আর সেই আনন্দে উৎসাহে উদ্দিপনায় দিকে দিকে বিজেপির অনুগামীরা বাজি পটকা ফাটিয়ে রং উড়িয়ে আনন্দ উল্লাশ করেন। একই চিত্র প্রত্যক্ষ করা যায় ত্রিপুরা তেও। কারণ বিগত কয়েক মাস যাবত বিহারের নির্বাচনের দিকেই নজর ছিল গোটা দেশের পাশাপাশি ত্রিপুরার ও। প্রত্যাশিত ভাবেই ক্ষমতা ধরে রাখার আনন্দ এখানেও উদযাপিত হয়। কিন্তু এটা ছিল কেবলমাত্র একটা দিক।
কারণ একই দিনে একাংশ দুষ্কৃতী এই আনন্দে নিজের জ্ঞান হাড়িয়ে বিরোধী শিবির দের উপর জমে থাকা রেশ জাহির করতে মরিয়া হয়ে উঠে। বিভিন্ন পার্টি অফিস ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ , মানুষের দোকান পাঠ লুট করার মতো অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী থাকে ত্রিপুরা। আর এই সব কিছুর পেছনে মূল দায়ী বিজেপিই , এমনটাই অভিযোগ করেছেন বিরোধী বামেরা।
এরই মধ্যে দলীয় কাজের সূত্রে দিল্লী তে অবস্থান করছেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। বিহারের ফলাফল থেকে শুরু করে ত্রিপুরা রাজ্যে তার যে প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে তা দিল্লী তে বসেই অবগত হয়েছেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। আর সেই নিয়ে এবার দিল্লী থেকেই একটি বক্তব্য প্রকাশ করেছেন তিনি।
আলোচনার শীর্ষেই যে উক্তি টি উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত কিছুদিনে চলমান ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উনিই এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তাছাড়া , ৪ বড়জলা বিধানসভা মণ্ডল এর এক নেতা টিংকুব্রত বাবু সিপিআইএম কে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাদের জীবন যৌবন নিয়ে। প্রাণ নাশের মতো হুমকি ও উঠে আসে উনার বক্তব্যে। এই নিয়ে সিপিআইএম রবিবার তার বিরুদ্ধে এক মামলা ও দায়ের করেছে এনসিসি থানায়।
সেই প্রসঙ্গ তুলে জিতেন্দ্র বাবু বলেন, “ বিহারের ফলাফলের প্রায় তাৎক্ষণিক পরেই ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপির আশ্রিত সমাজ দ্রোহী দের দ্বারা বর্বর আক্রমণ শুরু হয়েছে। এমনকি তাদের একজন কার্যকর্তা ক্যামেরার সামনে সিপিআইএম হুমকি দিয়ে বলছেন তাদের কে শিক্ষা দেওয়া হবে। এই অবস্থা প্রমাণ করছে যে বিজেপি বিহার নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সন্দিহান ছিল। তথাপি তারা যে আসনে জয়লাভ করেছে তা দেখার পর বিজেপি দ্বিগুণ সন্ত্রাস কায়েম করার চেষ্টা চালাতে শুরু করেছে।“
বিভিন্ন গণ মাধ্যম গুলিও বিহারে বিজেপি এনডিএ এর আসন সংখ্যা নিয়ে এমন এক্সিত পোল প্রকাশ্যে আনেনি যা প্রকৃত ফলাফলে উঠে এলো। খোদ মোদী শাহ্ নিজেরাও কল্পনা করেন নি এই পরিণতি। তবে যাই হোক , যেভাবেই হোক সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে। কিন্তু এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে খোদ নির্বাচন কমিশন। যেখানে কমিশনার বলছেন যে বিহারে ভোটার দের সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৪২ লক্ষ সেখানে ভোটের পর সেই সংখ্যা আরও ৩ লাখ বেড়ে ৭ কোটি ৪৫ লক্ষ হয়ে যায় কিভাবে সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।
তবে যাই হোক না কেন, বিহার নির্বাচন এর পূর্বে বিজেপির মনে ও যে টান টান উত্তেজনা ছিল তা ত্রিপুরা রাজ্যেও পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু এই জয়লাভের পর রাজ্য বিজেপির একাংশ আবারো তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে। আর এক্ষেত্রে তারা সরাসরি টার্গেট করেছে সিপিআইএম কে। পার্টি অফিস ভাঙ্গা, আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া এসমস্ত ঘটনা বিজেপির প্রকৃত চারিত্রিক গুণাবলী জাহির করছে। বিজেপি যে গণতন্ত্র বিরোধী তারই প্রমাণ মিলেছে, এভাবেই এদিন তার বক্তব্যে বিজেপি কে বিঁধলেন তিনি।



