খবরে প্রতিবাদ

খবরে প্রতিবাদ

Saturday, 11 October 2025 - 06:41 PM
শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫ - ০৬:৪১ অপরাহ্ণ

Jatrapur PS News : যাত্রাপুর থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ল কুখ্যাত নেশা কারবারী, উদ্ধার চার লক্ষ টাকার ইয়াবা

Jatrapur PS News
1 minute read

Jatrapur PS News : নেশা বিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য পেল যাত্রাপুর থানা পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শনিবার সকাল প্রায় নয়টার দিকে যাত্রাপুর থানা ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে ধরা পড়ল এক কুখ্যাত ইয়াবা ট্যাবলেট মজুতদার। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে প্রায় চার লক্ষ টাকার ইয়াবা, যা নেশা ব্যবসার বড় চক্রের সাথে যুক্ত থাকার সন্দেহ করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যাত্রাপুর থানা এলাকার সীমান্তবর্তী নির্ভয়পুর গ্রামের বাসিন্দা সুমন মিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মোট ২০ প্যাকেট — অর্থাৎ ৪,০০০ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন যাত্রাপুর থানার ওসি সিতি কন্ঠ বর্ধন ও সাব-ইন্সপেক্টর প্রীতম দত্ত, সাথে ছিলেন বিএসএফের 81-বিএন বি কোম্পানির নির্ভয়পুর বিওপির সদস্যরা।

প্রায় ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ ও বিএসএফ সদস্য এই অভিযানে অংশ নেন। যৌথ তল্লাশির সময় সুমন মিয়ার বাড়ির বসতঘর থেকে এই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়। যাত্রাপুর থানার ওসি জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে NDPS (নেশা দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ) আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। আগামীকাল, রবিবার (১০ আগস্ট) অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হবে।

সূত্রে জানা গেছে, নির্ভয়পুর সীমান্ত এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই নেশা ব্যবসায়ীদের রুট হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া এই ধরনের ইয়াবা ট্যাবলেট ভারতের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পড়ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, নেশা চক্রের মূল হোতাদের খুঁজে বের করতে তদন্ত অব্যাহত থাকবে।

নেশা বিরোধী এই সাফল্যের পর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, এ ধরনের অভিযানে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে যুব সমাজকে নেশার অন্ধকার থেকে রক্ষা করা যায়।

সীমান্তে এই অভিযান শুধু একটি বড় মাদক চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশের সাফল্য নয়, বরং নেশা বিরোধী লড়াইয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ইয়াবার মতো প্রাণঘাতী মাদক যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে, আর তাই এই ধরনের অপরাধ দমনে পুলিশ ও বিএসএফের সমন্বিত উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তবে একদিনের অভিযানে সমস্যার সমাধান হবে না—প্রয়োজন ধারাবাহিক অভিযান, গোয়েন্দা নজরদারি এবং স্থানীয় মানুষের সক্রিয় সহযোগিতা। সমাজ ও প্রশাসন যদি একসাথে কাজ করে, তবে সীমান্ত পেরিয়ে নেশার এই কালোবাজার চিরতরে রুখে দেওয়া সম্ভব।

For All Latest Updates

ভিডিও