Indrasena Reddy Nallu
দক্ষিন ত্রিপুরার অন্যতম আকর্ষণ বলতে এক হচ্ছে মৈত্রী সেতু, অপরটি হচ্ছে সীমান্ত হাঁট। সাব্রুম মহকুমাধীন শ্রী নগর সীমান্তে নির্মিত একমাত্র সীমান্ত হাঁট টি বরাবরই সকলের নজর কাড়ে। দুই প্রান্তের মানুষ সপ্তাহে এই একটা দিন এখানে এসে মিলিত হতে পারেন। খুব সীমিত সংখ্যায় হলেও এই ক্ষণিকের মিলন মেলা কিন্তু বিশাল গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র পারস্পরিক সুসম্পর্কই নয়। বানিজ্যিক ক্ষেত্রে ও খুবই লাভজনক বলে প্রমানিত এই সীমান্ত হাঁট। বিগত বাম আমল থেকেই এই হাঁট টি চালু করা হয়েছিল। যদিও মাঝখানে অনেকটা সময় এই হাঁট করোনার কারণে বন্ধ হয়ে পরে। তবে বিগত বছরে পুনরায় দুই প্রান্তের মানুষের কথা ভেবে একে আবারো উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেই থেকে এখানে হাজার ২ হাজার লোকের সমাগম লেগেই আছে।
২০২৩ এ বিধানসভা গঠন ও পরে রাজ্যপাল হিসেবে ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লু দায়িত্ব গ্রহনের পর আজ এই প্রথম তিনি এই সীমান্ত হাঁট টি পরিদর্শন করতে গেলেন। যদিও ইতিমধ্যে রাজ্যের বহু পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখেছেন তিনি। তবে এটি নিঃসন্দেহে সবার চাইতে ভিন্ন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মঙ্গলবার দক্ষিণ জেলার সাবরুম মহকুমা শ্রীনগর সীমান্তের একমাত্র বর্ডার হাট পরিদর্শনে গিয়ে ত্রিপুরার রাজ্যপাল ডঃ ইন্দ্রসেনা রেড্ডি বেশ খুশিও হয়েছেন। ভারতের বিভিন্ন ব্যবসায়ী গনের সাথে, মৎস্য ব্যবসায়ী শুটকি ব্যবসায়ী এবং লোকাল উৎপাদিত সবজি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন তিনি। কথা বলেন বাংলাদেশের ফেনী জেলার এডিএম এর সাথেও। পরিশেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেনএই সীমান্ত হাট খুব সুন্দর এবং সুশৃংখল। তিনি সীমান্ত হাটের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন এবং দুই দেশের মানুষদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক যেন আরও সুদৃঢ় থাকে সেই দিকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানান সকলের প্রতি । তাছাড়া সীমান্ত হাটের বেশ কিছু জায়গায় কাটাতারের বেডা ছিড়ে যাওয়ার চিত্র উনার নজরে এসেছে। এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল ডক্টর ইন্দ্রসেনা রেড্ডি বলেন এই বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই কথা বলবেন । উল্লেখ্য তেরো জানুয়ারি ২০১৫ সালে শ্রীনগর সীমান্তে বর্ডার হাট চালু হয়। রাজ্যপাল ডক্টর ইন্দ্রসেনা রেডডি সীমান্ত হাটে আসাকে কেন্দ্র করে গোটা সাব্রুমের পুলিশ প্রশাসন ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জোয়ানরা তাঁর নিরাপত্তার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেন । ত্রিপুরা রাজ্যপাল ডঃ ইন্দ্র সেনা রেডির সফর নিয়ে সীমান্ত গ্রাম গুলিতে ছিল বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পাশাপাশি রাজ্যের একেবারে শেষ প্রান্তে রাজ্যপাল মহাশয় পৌঁছে যাওয়ায় বেশ আনন্দ ও চোখে পড়লো স্থানীয়দের মধ্যে।