GBP HOSPITAL Agartala

আবারো জিবি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। ভুল ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে বলেই অহিবর দেবনাথ নামে এই সর্বশিক্ষা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে দাবি করলেন তার মেয়ে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জিবি চত্বরে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরবর্তী সময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ফের জিবি হাসপাতালে চিকিৎসা গাফিলতি অভিযোগ। রোগীর পরিজনদের দাবি ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে তাদের রোগীর। ভুল ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে বলে এই রোগীর মৃত্যু হয়েছে দাবি করলেন মৃত রুগীর কন্যা। মৃত ব্যক্তির নাম অহিবর দেবনাথ। তিনি সর্বশিক্ষা প্রকল্পের একজন শিক্ষক ছিলেন। বাড়ি তেলিয়ামুড়া মহকুমায়। মৃত রোগীর পরিবারের লোকজনদের দাবি অনুযায়ী, শরীরের রক্তাল্পতা এবং ক্রিয়েটিন কিছুটা বৃদ্ধি হওয়ার কারণে তাকে তেলিয়ামুড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জিবি হাসপাতালে রেফার করা হয়। শনিবার বেলা দুটো নাগাদ অহিবর দেবনাথ কে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, হাসপাতালে আনার পর কোন চিকিৎসাই করা হয়নি রোগীর । সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তাকে শুধু স্যালাইন দেওয়া হয়। পরবর্তী সময় তার কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থাপনা লিখে দেন চিকিৎসক। পাশাপাশি তাকে হিমোগ্লোবিনের একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। এই ইনজেকশন দেওয়ার পর থেকেই অহিবর দেবনাথের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে বলে দাবি করলেন তার মেয়ে। তিনি জানান ইনজেকশন দেবার পর থেকেই যে রোগী হেঁটে জিবি হাসপাতালে ঢুকে ছিল, তার হাঁটার ক্ষমতা চলে যায়। এর পর থেকে তাকে স্যালাইন দেওয়া শুরু হয় বেডে। কিন্তু তাকে কি ওষুধ পত্র দেওয়া হচ্ছিল সে ব্যাপারে অহিবর বাবুর পরিজনদের কিছুই জানানো হচ্ছিল না। শনিবার থেকে রবিবার শুধুমাত্র এতোটুকু চিকিৎসার পর রবিবার বেলা একটা নাগাদ অহিবর দেবনাথকে আরো একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। এই ইনজেকশনটি হাসপাতাল থেকেই দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করলেন রোগীর আত্মীয়-পরিজনরা। কিন্তু এই ইনজেকশন দেওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই পরীক্ষা নিরীক্ষার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক অহিবর দেবনাথ কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইনজেকশন দেওয়ার পরে হঠাৎ করে তার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তার আত্মীয় পরিজনরা। তাদের দাবি ভুল ইনজেকশন দেওয়ার কারণেই অহিবর দেবনাথের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনা রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল তথা জিবি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে। অহিবর দেবনাথের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয় হাসপাতালে। হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়েছে খবর পেয়ে পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যায় পুলিশ ও টিএস আর জওয়ান । পরবর্তী সময়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে উত্তেজনা প্রশমিত হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দুদিন পরপরই রাজ্যের প্রধান দুই রেফারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসকদের গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে অভিযোগ হচ্ছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দপ্তরের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি তুলেছেন সচেতন মহল।

Leave A Reply