খবরে প্রতিবাদ

খবরে প্রতিবাদ

Sunday, 12 October 2025 - 12:55 AM
রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫ - ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ

Disable Child Ayush Rishi Das :৮০ শতাংশ দিব্যাঙ্গ, তবুও মিলল না ভাটা, মিললো না সরকারি সহযোগিতা

Disable Child Ayush Rishi Das
1 minute read

Disable Child Ayush Rishi Das : ৬ বছরের শিশুটি জটিল রোগে আক্রান্ত। জন্ম থেকেই ৮০ % দিব্যাঙ্গ সে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে তাঁর যেটা সর্ব প্রথম প্রাপ্য সেটা হচ্ছে একটা সরকারি মাসিক ভাতা। এক্ষেত্রে স্থানীয় নেতা নেত্রীরা সবার প্রথমে এগিয়ে এসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু , এই শিশুটিকে সাহায্য করা বহুদুর উল্টে স্থানীয় কাউন্সিলর নাকি একটি লিখিত দিয়ে তাঁর পরিবার কে পথে পথে ঘুরে ভিক্ষে করতে অনুপ্রাণিত করেছেন। আর এই নিন্দনীয় ঘটনা অন্য কোথাও নয়। খোদ ত্রিপুরার আগরতলার বুকে।

১৩ প্রতাপগড় বিধানসভা কেন্দ্র। ২০২৩ এ কেন্দ্র টি তে বাম দলীয় প্রার্থী জয়ী হবার পর থেকে কোন ধরণের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নি। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। অন্যদিকে এই এলাকায় পুরো নির্বাচনে শাসক দলীয় যে কজন জয়ী হয়ে কাউন্সিলর হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা ঘরে বসে কেবল হাই তোলেন আর সময়ে নিজের টাকা গোনেন। এছাড়া এলাকার কোনো ধরণের উন্নয়ন মূলক কাজে তাদের কে দেখা যায় না। যে শিশু টিকে নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন তাঁর নাম আয়ুশ ঋষি দাস। মায়ের নাম অনিতা ঋষি দাস। আড়ালিয়ার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তারা। উক্ত ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর শিল্পী দেওয়ান দাস । উনার কাছে বহুবার শিশু টি কে নিয়ে গেছিলেন তাঁর পরিবার। কিন্তু উনি তাদের হাতে একটি কাগজ ধরিয়ে দিয়েছেন। যাতে লেখা আছে –

“ Ayush Hrishi Das , mother Smt. Anita Hrishi Das . Vill . Aralia Hrishi Coloni 26 ward AMC Agartala ,যার জন্ম 13-11-2019 জন্মের পর থেকে অজানা দুরারোগ্য রোগে ভোগছে। উক্ত শিশুর চিকিৎসার জন্য কোনো স্বহৃদয় ব্যক্তি আর্থিক সহায়তা করলে উক্ত শিশু ও তাঁর পরিবার বিশেষ ভাবে উপকৃত হয়।
উক্ত পরিবার টি P/G ( priority group ) ভুক্ত দারিদ্র্য পরিবার। “

এই হচ্ছে সেই চিঠি ও তাঁর লেখা। উপরে ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর এর নাম এবং এই চিঠির নিচে উনার স্বাক্ষর রয়েছে। স্পষ্ট ভাবেই বোঝা যাচ্ছে , উনি ঠিক কি উদ্দেশ্য লিখে এই চিঠি দিয়েছেন। একজন এলাকার কাউন্সিলর, উনি চাইলে শিশু টিকে সরকারি ভাবে সহযোগিতা পাইয়ে দেবার মতো চেষ্টা করতে পারতেন। অন্যথা উনি অন্তত তাঁর ন্যায্য ভাতা টুকুর ব্যবস্থা করতে পারতেন। কিন্তু তা উনি করেন নি।

এদিকে পরিবার টির অভিযোগ, তারা জানুয়ারি ১ তারিখ, ২০২৫ এ অর্থাৎ নিউ ইয়ারের দিনেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শিশু টিকে নিয়ে গেছিলেন এবং সেখানে শিশুটিকে দেখে মুখ্যমন্ত্রী তাকে জিবি তে নিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন। সেখানে ডঃ রেড্ডির তত্ত্বাবধানে আয়ুশ এর চিকিৎসা ও চলছিল। চিকিৎসক দের মতে সে অপারেশান করালে সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারে। তাঁর মূলত Hydrocephalus with meningomyelocele with quardriparesis জাতীয় রোগ হয়েছে। যার ফলে তাঁর একদিকে পিঠে একটি পুজ হয়ে গেছে। আর সেই থেকে শিশুটির মাথা ক্রমশ জল জমে ফুলে উঠছে। এই করুন অবস্থা দেখেও মুখ্যমন্ত্রী কোনো ধরণের আর্থিক সহযোগিতা করেন নি বলে অভিযোগ করেছেন আয়ুশ এর দিদিমা।

বর্তমানে, আয়ুশ এর মাসিক হাজার টাকার ঔষধ এবং পথ্য গ্রহন করা অত্যন্ত জরুরী। এই অবস্থায় যদি সবাই মিলে আর্থিক ভাবে আয়ুশ কে সহযোগিতা করেন তবে শিশুটি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারবে। অন্যদিকে রাজ্য সরকার যদি সত্যিই স্বহৃদয় হয়ে থাকে তবে অতি দ্রুত আয়ুশ এর ভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক এমনটাই আর্জি রাখছে তাঁর পরিবার।

For All Latest Updates

ভিডিও