Dhananjay Tripura missing
কাজের আশায় বহিঃরাজ্যে পাড়ি দিয়ে নিখোঁজ রাজ্যের এক জনজাতি যুবক। ৫ দিন পর পুলিশের দ্বারস্থ পরিবার।
ত্রিপুরা রাজ্যে রুজি রুটির বেহাল দশার কারণে বহিঃরাজ্যে কিংবা বিদেশে কর্মসংস্থান খুজতে যাচ্ছে রাজ্যের ছেলে মেয়েরা। এই কথা অস্বীকার করা যায়না। আর সেই চিন্তা ভাবনে নিয়েই গত ৩০শে এপ্রিল বহিঃ রাজ্যে কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় রাজ্যের বেশ কয়েক জন যুবক। তাঁর মধ্যে ছিল শান্তিরবাজার মহকুমার অন্তর্গত নারাইফাং এলাকার বাসিন্দা ধনঞ্জয় ত্রিপুরা। তাঁর সাথে ছিল আরও বেশ কয়েকজন। তারা শাখবাড়ির বাসিন্দা মানজিৎ ত্রিপুরা ও আভাংছড়ার বাসিন্দা জ্যাকব ত্রিপুরার হাত ধরে কাজের সন্ধানে বহিঃরাজ্য চেন্নাইয়ে পাড়ি দেয়।
পরিবারের লোকজনের অভিযোগ গত ৩ রা মে ধনঞ্জয় ত্রিপুরার সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয়েছে তাদের । এর পর থেকেই বন্ধ যোগাযোগ। তিনি নিখোঁজ হয়েছেন বলেই অভিযোগ পরিবারের । ধনঞ্জয় ত্রিপুরা চেন্নাই শহরের কোয়েম্বাটুর রেলষ্টশন থেকে নিখোঁজ হয়েপরে বলে জানা যায়। পরিবারের লোকজনেরা দুই এজেন্ট মানজিৎ ত্রিপুরা ও জ্যাকব ত্রিপুরার সঙ্গে কথা বলেও কোনো প্রকার সৎ উত্তর পাননি । তাদের মতে কোয়েম্বাটুর স্টেশনে নামার পরপরই নিখোঁজ হয়ে যায় ধনঞ্জয়। বাকি যুবকেরা তৎক্ষণাৎ খোঁজাখুঁজি করলেও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিভাবে কেনই বা এভাবে নিখোঁজ হবে ধনঞ্জয় সে বিষয়ে ও কারো কোনো সদুত্তর নেই।
অবশেষে দীর্ঘ কয়কদিন অতিক্রান্ত হবার পর পরিবারের লোকজন ধনঞ্জয় ত্রিপুরাকে খুঁজে পেতে শান্তির বাজার থানার দারস্ত হন। শান্তির বাজার থানার পুলিশ নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেছেন।
প্রায়শই রাজ্যে কাজ ও কর্মসংস্থানের অভাবে রুজি রুটির তাগিদে বহিঃরাজ্যে ছুটে যায় বহু যুবক। কিন্তু কাজের সন্ধানে গিয়ে একাংশের আর কোনো খবর পাওয়া যায়না। এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বহু নিখোঁজ মামলা দায়ের হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন থানায়। যাদের হাত ধরে বহিঃরাজ্যে পাড়ি দিয়েছিল ধনঞ্জয়, তাঁর নিখোঁজ হবার পেছনে সেই দালালদের হাত নেই তো? নাকি কোনো অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে ধনঞ্জয়? পুলিশ আশ্বস্ত করেছে ধনঞ্জয় কে খুঁজে এনে দেবেন। দেখাই যাক পুলিশ সঠিক তদন্ত ক্রমে ধনঞ্জয় কে সুস্থ সবল অবস্থায় তাঁর বাবা মায়ের কাছে পৌঁছে দিতে পারে কি না।