Cpim Sudhan Das : ত্রিপুরা মৎস্যজীবী ইউনিয়ন ও তফশীলি জাতি সমন্বয় সমিতির যৌথ উদ্যোগে ২৪শে জুলাই রাজভবন অভিযানের উদ্দেশ্যে এক সুশোভিত মিছিল আহ্বান করা হয়। এদিন প্যারাডাইস চৌমুহনি থেকে এই মিছিলটি শুরু হয়ে সার্কিট হাউসে গিয়ে এক সভায় মিলিত হয়।
উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, বিরোধী দলনেতা তথা পলিটব্যুরো সদস্য জীতেন্দ্র চৌধুরী, তপশিলি জাতি সমন্বয় সমিতির রাজ্য সম্পাদক বাম নেতা সুধন দাস, প্রাক্তন মন্ত্রী রতন ভৌমিক সহ অন্যান্য বামপন্থী কর্মী সমর্থকেরা।
রাজ্য সরকার মৎস্যজীবী দের জন্য যে সমস্ত প্রকল্প চালু করেছে তার সুবিধা পাচ্ছেন না মৎস্য জীবিরা। উল্টে মৎস্যজীবী দের জীবিকায় কুঠারাঘাত বসাচ্ছে রাজ্যের বর্তমান জনবিরোধী সরকার।
তৎসঙ্গে জনসাধারণের নিত্যদিন নানা সমস্যাদি নিয়েও এদিন সরব হতে দেখা যায় বাম নেতৃত্ব দের। বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ১০৩২৩ এর চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া সবকটি দাবি উঠে আসে এই ১৩ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকে। এদিন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুধন দাস রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে রাজ্য সরকার কে বিধলেন।
মৎস্যজীবী দের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম কে বেসরকারি করণ করার উদ্যোগ নিয়েছে এই সরকার। দেশে ২ কোটির ও বেশি মৎস্যজীবী রয়েছেন। কেন্দ্র সরকারের দৌলতে তারা আজ সঙ্কটাপন্ন। দেশীয় মৎস্যজীবী দের পেটে লাথি মেরেছে বিদেশী মৎস্য রপ্তানি কারীরা। আর তাতে সর্বতোভাবে মদত দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার।
বাম সরকার থাকতে , শ্লোগান ছিল জ্বাল যার জল তার। সরকারি জলাশয় গুলোকে মৎস্য জীবিদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিল বাম সরকার। ডম্বুর জলাশয় কেও সেক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়।
কিন্তু বর্তমানে সেই সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে এই সরকার। নেই মৎস্য জীবি দের সমবায়ের হাতে কোনো ক্ষমতা।
বিজেপি সরকারের মাসল ম্যানেরা সব দখল করেছে।
ডম্বুর জলাশয়, রাজ্যের সব চাইতে বড় জলাশয় যা মৎস্যজীবী দের জীবিকায় একটা অনন্য ভূমিকা পালন করতো।তাকে তুলে দেওয়া হয়েছে বেসরকারি সংস্থার হাতে। গোটা দেশ যেভাবে বেসরকারি করণের দিকে হাটছে তার প্রভাব পড়েছে ত্রিপুরা রাজ্যের ছোট ছোট জলাশয় গুলিতেও।
ডম্বুর এর পর রুদ্রসাগর কে বেসরকারি করণ করতেও পরিকল্পনা নিচ্ছে এই সরকার। যা সম্পূর্ণ ভাবে মৎসজীবী দের স্বার্থ বিরোধী।
এই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে এদিন মিছিল থেকে এক রাশ ক্ষোভ উজার করে দিলেন বাম নেতৃত্ব রা।
রাজ্যপালের কাছে এই ১৩ দফা দাবি প্রেরণ করতে আয়োজিত মিছিল যদিও রাজভবন অব্দি গিয়ে পৌঁছায়নি এদিন। তার আগেই প্রশাসন এর পক্ষ থেকে মিছিল আটকে দেওয়া হয়। সেখানকার আয়োজিত সভা থেকেই সশব্দে রাজ্য সরকারের এই মৎস্যজীবী বিরোধী পরিকল্পনার তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বামপন্থী মৎস্য ইউনিয়ন ও তফশীলি জাতি সমন্বয় সমিতি।