CPIM rally Kamalpur
আগরতলা ১২ মে, একদিকে রাজ্যজুড়ে কাজ-খাদ্যের তীব্র সংকট দূর করা, ব্যাপকহারে রেগা, টুয়েপ সহ অন্যান্য সরকারী কাজের ব্যবস্থা করা, রেগার বকেয়া মজুরী মিটিয়ে দেয়া অন্যদিকে বিদ্যুতের অচলাবস্থা দূর করা, পেট্রোপণ্যের সংকট সুরাহা করা ও নিত্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা, ভেঙে পড়া রাস্তাগুলি অবিলম্বে সংস্কারের দাবীতে সিপিআইএম কমলপুর মহকুমা কমিটির উদ্যোগে রবিবার হালহালির সাপ্তাহিক হাট বাজারে দলীয় মিছিল প্রখর রৌদ্রতাপকে উপেক্ষা করে উত্তর থেকে দক্ষিণ বাজার পরিক্রমা করে সিপিআইএম অফিসের সম্মুখে বিক্ষোভ কর্মসূচীর বক্তব্য রাখেন সি পি আই এম কমলপুর মহকুমা কমিটির সম্পাদক অঞ্জন দাস। অঞ্জন দাস ভাষনে বলেন, রাজ্যজুড়ে এক অরাজকতার পরিবেশ চলছে।রাজ্যের জনগণ কিভাবে ভাল থাকতে পারে তার জন্য কোন সুপরিকল্পিত উদ্যোগ যে নেই তা বর্তমান অবস্থা থেকেই উপলব্ধি করা যায়। পুর্বতন বামফ্রন্ট সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন কারণে সংকট তৈরী হলে পেট্রোপণ্য ও নিত্য পণ্যের বাফার স্টক গড়ে তুলতো এবং কালোবাজারীর বিরুদ্ধৈ প্রশাসনকে সক্রিয় রাখতো।বর্তমান সরকারের এই ক্ষেত্রে প্রচন্ড দুর্বলতা রয়েছে। রাজ্যের পেট্রোল পাম্পগুলিতে তেল নেই বলছে অথচ লিটার প্রতি ২০০/৩০০ টাকা দিতে পারলে তেলের অভাব হয় না। সরকার উদাসীন। শ্রী দাস আরো বলেন,ঝড় বৃষ্টি না থাকলে ও বিদ্যুৎ থাকে না।আর ঝড় বৃষ্টি হলে কোন কোন এলাকায় ৭/৮ দিনের বেশী বিদ্যুৎ থাকে না। এর ফলে পানীয়জল, জল সেচসহ জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ৪/৫ মাস ধরে রেগা ও টুয়েপ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কাজ না থাকায় ,সরকারী চাকরী নতুনভাবে নেই বললেই চলে তার ফলে তীব্র কাজ-খাদ্যের সংকট তৈরী হচ্ছে। এই অবস্থায় ব্যাপকহারে কাজের ব্যবস্থা করা এবং আলু পেঁয়াজ সহ নিত্য পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বাড়ছে আর প্রশাসন নির্লিপ্ত। তাই প্রশাসনকে সক্রিয় হওয়ার দাবী জানান। তিনি আরো বলেন যে বামফ্রন্ট সরকারের সময়ের হাতে নেওয়া সাব্রুমের মৈত্রী সেতু চালু করলেই রাজ্যের এই বড় সমস্যাগুলি তৈরী হবে না এবং নানাভাবে রাজ্যের অগ্রগতি ঘটবে এবং একই সঙ্গে তিনি লামডিংয়ের রেলপথ ও সোনারপুরের সড়ক পথের মানন্নোয়ন ঘটানোরও দাবী জানান। এই দাবিগুলি নিয়ে আগামীদিনে আরো বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি।