Churaibari Congres Deputation : বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে দাবী আদায়ের এক মাত্র বিকল্প পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে পথ অবরোধ। এই সংস্কৃতি যে আগে ছিলনা তেমন টা নয়। তবে সময়ের সাপেক্ষে যেন সেই সংস্কৃতি আরও জেকে বসেছে। রাজ্যে আম জনতা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল সর্ব ক্ষেত্রেই বিক্ষোভ প্রদর্শন ও দাবী আদায়ের একমাত্র পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই পথ অবরোধ বা চাক্কা জ্যাম কর্মসূচী।
এমনই এক পথ অবরোধে আটকা পরে আধ ঘণ্টা যাবত অস্বস্তিতে ভুগতে হয়েছে যাত্রী সাধারণ কে। ঘটনা ৮ নং জাতীয় সড়কে। প্রসঙ্গত , বুধবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে চুরাইবাড়ি থানায় এক ডেপুটেশান কে ঘিরে এই সড়ক অবরোধ করা হয়।
ত্রিপুরা–আসাম সীমান্তবর্তী উত্তর জেলার চুরাইবাড়ি থানার সামনে বুধবার এক উত্তাল আন্দোলনে সামিল হন চুরাইবাড়ি কংগ্রেস। মোট তিন দফা দাবিকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে চুরাইবাড়ি থানার উদ্দেশ্যে ডেপুটেশন প্রদান করেন তারা। এই কর্মসূচী তে প্রায় শতাধিক কংগ্রেস কর্মী–সমর্থক এগিয়ে আসেন । ডেপুটেশনের নেতৃত্ব দেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক আব্দুল বাছিত চৌধুরী, সদস্য গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সহ জেলার একাধিক নেতৃত্ব।
এই ডেপুটেশনে যে প্রধান দাবিগুলি তুলে ধরা হয় সেগুলো হল — চুরাইবাড়ি থানার এলাকায় প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা চুরি–ডাকাতি ও নেশা ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, থানার এসআই প্রদীপ বর্মনের বিরুদ্ধে ওঠা নানাবিধ অভিযোগের তদন্ত করা এবং তাঁকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অবিলম্বে অপসারণ ও তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া। কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে তা বন্ধ করা এবং পুলিশি হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করা।
স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর থানা থেকে বেরিয়েই কংগ্রেস কর্মীরা থানার সামনে ৮ নম্বর আসাম–আগরতলা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে প্রায় আধঘণ্টা যান চলাচল ব্যাহত হয় উক্ত জাতীয় সড়কে । আর তাতেই আটকা পরে যান যাত্রী সাধারণ। পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে উঠছে আভাষ পেয়ে ছুটে আসেন থানার অফিসার–ইনচার্জ দেবব্রত বিশ্বাস। তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অন্যদিকে তাদের দাবী গুলোর যৌক্তিকতা স্বীকার করে অতি দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিক ।