Charilam Market News : চড়িলাম নতুন বাজারে এক নাবালক কিশোরের অসাধারণ সততার নজিরে মুগ্ধ বাজারের ব্যবসায়ীরা। বাজারে কুড়িয়ে পাওয়া টাকার বান্ডিলটি কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছাড়াই বাজারের কোষাধক্ষ্য হরি মাধব দেবনাথ এবং সম্পাদক মাধব দত্তের হাতে তুলে দেয় রাহুল ঘোষ। বাজার কমিটি জানিয়েছে—খুব শিগগিরই ওই কিশোরকে ‘সততার প্রতীক’ হিসেবে সংবর্ধনা জানানো হবে।
বাজার সংলগ্ন অনুকূল ঠাকুর আশ্রমের পাশে ১৫–১৬ বছরের যে ছেলেটি মাঝে মাঝে বাজারে আসতো, দোকান থেকে ছোটখাটো খরচ নিতো—সেই ছেলেটিই হঠাৎ টাকার বান্ডিলটি পায়। টাকা হাতে পাওয়ার পরও সে গণনা না করেই জানিয়ে দেয়—“আমি এগুলো রাখবো না, আপনারাই সঠিক মালিককে দিয়ে দিন।”
বাজার কমিটির সদস্য জানান,
“আমি বুঝতেই পারছিলাম না কার কাছে দেবো। তাই মিডিয়ার সাহায্য চেয়েছি। কয়েকটি চ্যানেলকে জানানো হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই—যে ব্যক্তি টাকা হারিয়েছেন, যেনো উপযুক্ত প্রমাণসহ দ্রুত টাকা ফেরত নিতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা চাই না কারও পরিশ্রমের উপার্জন হারিয়ে যাক। সমাজে প্রতিদিন অনেক জিনিস হারানোর ঘটনা ঘটে—টাকা, নথি, ব্যাংকের বই—অনেক কিছুই। আমাদের বাজার কমিটি এর আগেও বহুবার হারানো জিনিস ফেরত দিয়েছে। এবার সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি সকলের সামনে তুলে ধরা হলো।”
সমাজের প্রতি বার্তা দিতে গিয়ে তিনি বলেন,
“বর্তমান সময়ে যখন যুব সমাজ নিয়ে নানা উদ্বেগ শোনা যায়, তখন এই নাবালক প্রমাণ করে দিল—মানবতা এখনও বেঁচে আছে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সৎ পথে এগিয়ে চলতে উৎসাহিত করা।”ছেলেটির নাম জানা না গেলেও জানা গেছে—সে স্থানীয় একটি সেলুনে কাজ করে।
এই নাবালক কিশোরের সততা আবারও মনে করিয়ে দিল—মানবতার আলো এখনও নিভে যায়নি। অর্থের লোভে যেখানে অনেকেই পথ হারায়, সেখানে একটি সেলুনকর্মী কিশোর নিজের প্রয়োজনের চেয়ে সত্যকে বড় করে দেখিয়েছে। বাজার কমিটির পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনার ঘোষণা সমাজে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে নিঃসন্দেহে। যে ব্যক্তি টাকা হারিয়েছেন, তিনি উপযুক্ত প্রমাণ নিয়ে টাকা ফিরে পেলে এই সুন্দর উদ্যোগ আরও অর্থবহ হয়ে উঠবে। এমন ঘটনাই সমাজে আস্থা, বিশ্বাস ও মানবিকতার মূল্যকে নতুন করে জাগিয়ে তোলে।



