BSF jawan accused for theft

চুরি কাণ্ডে এবার অভিযোগের তালিকায় এক বিএসএফ কর্মী। আশ্চর্যজনক এই ঘটনা ঘটেছে কমলাসাগর বিধানসভার মিয়াপারা এলাকায়। অবশেষে বিএসএফ কর্মীর বিরুদ্ধেই মামলা গড়িয়েছে থানায়।
আম জনতার মধ্যেই কাউ না কাউকে তো চুরি কাণ্ডে জড়িত বলে আপনারা বহুবার শুনেছেন বা প্রয়ায়শই শুনে থাকেন। কিন্তু একজন সরকারি সীমান্ত রক্ষি কর্মী চুরি কাণ্ডে যুক্ত থাকতে পারে এটা অবাক করার মতোই বিষয়।
এবার খোদ বিএসএফের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে মামলা করল আমজনতা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কমলাসাগর মিয়াপাড়া এলাকায় বিএসএফ এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় কমলাসাগর মিয়াপাড়া এলাকার রাজু দেবের একটি মারুতি গাড়ি দেবীপুর পশু খামারের ভেতর থেকে চালকের অনুপস্থিতিতে সেই মারুতি গাড়িটি এবং গাড়িতে থাকা একটি মোবাইল চুরি করে নিয়ে আসে মিয়াপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের ১৫০ বাহিনীর আইবি অপূর্ব বিশ্বাস এমনটাই অভিযোগ। আর এই অভিযোগ এনে মধুপুর থানায় গাড়ির মালিক রাজু দেব সেই আইবি অপূর্ব বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মঙ্গলবার দুপুরবেলা।
উপরে যার ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এই সেই গুণধর বিএসএফ কর্মী। তার বিরুদ্ধে এর আগেও বহুবার এলাকাবাসী নানা কারণে অভিযোগ করেছে। এবার বিগত ৬ই জুলাই এক স্থানিয়ের গাড়ি জোর পূর্বক ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার কারণেই ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন স্থানীয়রা। গাড়িটির নম্বর TR07C0454 ।
গাড়িটি চুরি যাওয়ার পর অনেক খোঁজাখুজি করে গাড়ির মালিক জানতে পারে তার গাড়িটি বিএসএফের আইবি অপূর্ব বিশ্বাস মিয়াপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে গেছে কোন কারণ ছাড়াই। পরবর্তী সময়ে রাজু দেব সেই গাড়িটির হদিস পেয়ে যখন ক্যাম্পে এসে গাড়ি আনতে যায় তখন তার সাথে অনেক খারাপ আচরণ করে অপূর্ব বিশ্বাস বলে অভিযোগ। এমনকি গাড়ির মালিক রাজু দেবকে হুমকি দেয় প্রয়োজনে গাড়ির সাথে তার বিরুদ্ধেও মামলা নিয়ে নিবে। পরবর্তী সময়ে অপূর্ব বিশ্বাস ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তার গাড়ির মধ্যে চার বস্তা চিনি দিয়ে কাস্টমসের হাতে তুলে দেয় চালকের মোবাইল সহ। পরবর্তী সময়ে অনেক আলোচনার পরেও সেই গাড়িটি দিতে নারাজ অপূর্ব বিশ্বাস।
এদিকে গাড়ির মালিক রাজুদেব সাফ জানিয়ে দেয় খামার থেকে এক প্রকার চুরি করে গাড়িটা নিয়ে এসে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে অপূর্ব বিশ্বাস তার গাড়িটিকে ফাঁসিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য ১৫০ বাহিনীর বিএসএফের আইবি অপূর্ব বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পূর্বেও অনেক অভিযোগ রয়েছে। প্রায় বাড়ি গিয়ে জনগণকে হয়রানি এমনকি যারা বাণিজ্যের সাথে জড়িত নয় তাদেরকে হুমকি দিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় এবং সর্বদাই মদ্যপান করে থাকে বলে অভিযোগ। এখন দেখার বিষয় পুলিশ চুরির মামলা হাতে নিয়ে বিএসএফের আইবি বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেয়।

Leave A Reply