BJP worker attacked in Boxonagar
বক্সনগর ব্লক অন্তর্গত রহিমপুর বাজারের বৈশাখী মেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ঘটনায় গুরুতর আহত এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী খোরশেদ আলম। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবছরও রহিমপুর বাজারে শনিবার বৈশাখী মেলা শুরু হয়। এই মেলায় ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকান দিতে আসেন । এই মেলাকে কেন্দ্র করে একটি মেলা কমিটি গঠিত হয়। এই মেলার সমস্ত কিছু পরিচালনা করেন মেলা কমিটি।
এবার রহিমপুর এর বাসিন্দা শাহজাহান মিয়া র(ধনা) চা দোকানের একটি দরজার সামনে একটি বহিরাগত দোকানিকে দোকান দেওয়ার জন্য মেলা কমিটি সিদ্ধান্ত করেন। এই সিদ্ধান্তক্রমে বহিরাগত দোকানদার সেখানে দোকান দিতে আসলে শাহজাহান মিয়া বাধা প্রদান করে। এতে মেলা কমিটির সম্পাদক তথা এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী খুরশেদ আলম চা বিক্রেতা শাহজাহান মিয়ার সঙ্গে কথা বলতে আসে। প্রথমে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তারপর হঠাৎ শাহজাহান ক্ষিপ্ত হয়ে দোকান থেকে ধারালো ছুরি বের করে খোরশেদের বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে খোরশেদ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং সারা দেহ রক্তে লাল হয়ে যায়। ঘটনাটি চাউর হতেই খোরশেদের ভাই সোহেল ঘটনাস্থলে আসলে লাঠি দিয়ে হাতে আঘাত করা হয় তাকেও। ঘটনাস্থলে মেলা কমিটি সহ এলাকার লোকজন আসলে অভিযুক্ত শাহাজান মিয়া ঘটনাস্থল স্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে আবার ঘটনার খবর পেয়ে কলমচৌড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনায় আহত খোরশেদ আলমকে প্রথমে বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক স্নিগ্ধা দাস তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রোগীর আশঙ্কা জনক পরিস্থিতি দেখে আগরতলা আইএলএস হাসপাতালে রেফার করেন। তবে অভিযুক্ত শাহজাহান তথা ধনা এলাকা থেকে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কিছুক্ষনের মধ্যেই পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি খুবই থমথমে। জানা যায় পরে ক্ষিপ্ত জনতারা দোকানটিকে ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়। এই থমথমে পরিস্থিতি কে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে এক সুত্র মারফৎ খবর রয়েছে যে ঘটনায় আহত খোরশেদ আলম আবার বিজেপির একজন কার্যকর্তা।