BJP Upa Pradhan violent actions
উপ প্রধানের দাপটে অতিষ্ঠ এলাকার লোক, ভাতিজা কে বাঁচাতে অসহায় পরিবারের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে ফিরোজ
বিজেপি নেতার হুমকির শিকার এক পরিবার। নাবালিকা মেয়েকে অপহরন করায় থানায় মামলা দায়ের করতেই স্থানীয় বিজেপি নেতার রশানলে পড়তে হল নাবালিকার পরিবার কে। অপহরন কাণ্ডে জড়িত দোষীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে পরিবারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি দলীয় উপ প্রধান। ঠুঁটো জগন্নাথ এর ভূমিকায় পুলিশ।
বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় নাবালিকা মেয়ে কে জোরপূর্বক অপহরন করে নিয়ে গেল সোনামুড়ার মতিনগর স্থিত ফকিরদোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এর উপ প্রধানের ভাতিজা। সেই ভাতিজার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে নাবালিকা মেয়েটির পরুবার। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে এবার মামলা তুলে নেবার জন্যে পরিবার কে হুমকি ধমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে উপ প্রধান ফিরজ মিয়ার এই গুন্ডা গিরি তে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে অসহায় পরিবার টি। এই নিয়ে নাবালিকার পিসি সংবাদ মাধ্যম কে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য ঘটনা বিগত চার দিন আগে। মতিনগরের বাসিন্দা বাবুল মিয়ার ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে অপহরন করে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী গ্রামের বিল্লাল মিয়া, পিতার নাম আব্দুল রসিদ। জানা যায় আব্দুল রসিদ ছেলের জন্যে পূর্বেই ঐ নাবালিকা মেয়ের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু পরিবার সেই প্রস্তাব মানতে রাজী না হলে আব্দুল রসিদ এর ছেলে বিল্লাল প্রায়শই নাবালিকা মেয়েকে বিরক্ত করতো। স্কুলে যাবার পথে, এমনকি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ও নাবালিকা মেয়েটি কে নানাভাবে উত্যক্ত করেছে ঐ বিল্লাল। জানা যায় এলাকা জুড়ে বিল্লাল , তাঁর পরিবার বেশ প্রভাব খাটিয়ে চলে। আর তাঁর পেছনে আসল ক্ষমতা রয়েছে ফকিরডোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ফিরজ মিয়ার। যে কিনা বিল্লাল মিয়ার কাকা। অতঃপর বিল্লাল নাবালিকা মেয়েকে অপহরন করে লুকিয়ে রাখলে নাবালিকার পরিবার সোনামুড়া থানার দ্বারস্থ হয়ে বিল্লালের নামে মামলা করে এবং তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা অতিক্রমের আগেই উপ প্রধান ফিরজ তাঁর প্রভাব খাটিয়ে বিল্লাল কে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এদিকে সোনামুড়া থানা বাবুরা গ্রামের এই চুনোপুঁটি নেতাদের কে তোষামোদ করতে এতটাই ব্যস্ত যে তারা আজ ৪দিন পেড়িয়ে গেলেও নাবালিকা কে খুঁজে দিতে ব্যর্থ। অতঃপর নাবালিকার পরিবার পরিজন দের পুলিশ আশ্বাস দিচ্ছে তারা নাকি খোঁজ চালিয়েছে। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নাবালিকার পরিবার।
অসহায় বাবুল মিয়া নাবালিকার পিতা , কোনোক্রমে দিন গুজরান করেন। অসহায় পরিবার টির চোখের মণি নাবালিকা মেয়ের অপহরণের ঘটনায় রীতিমতো স্তম্ভিত গোটা এলাকা। কিন্তু বিজেপি দলের প্রভাব খাটিয়ে এবং উপ প্রধান হবার ক্ষমতা দেখিয়ে অন্যায় কে প্রশ্রয় দিচ্ছে এমনকি মামলা প্রত্যাহারের জন্যে ও নাবালিকার পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে এই ফিরজ মিয়া।
সুশাসনের ত্রিপুরায় এধরণের ঘটনা আম বিষয়। পুলিশের এহেন ভূমিকা ও এখন আর মানুষ কে খুব একটা অবাক করে না। কিন্তু মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কি নজর আছে এই বাস্তবিকতা গুলোর দিকে ? সোনামুড়া থানা বাবুদের এহেন আচরণ কি আদৌ সুশাসন এর লক্ষ্যন ? দেখার বিষয় এবার এই প্রভাবশালী উপ প্রধানের খপ্পর থেকে অসহায় পরিবার টিকে বাঁচাতে এবং নাবালিকা কে উদ্ধার করতে সুশাসিত ত্রিপুরার পুলিশ কি ভূমিকা গ্রহন করে।