BJP riot in Brajapur : বিজেপি বনাম বিজেপির লড়াইয়ে তুলকালাম কাণ্ড চরিলাম এর ব্রজপুর বাজার এলাকায়। অভিযোগ, একই দলের দুই ভিন্ন গোষ্ঠীর আপেক্ষিক কোন্দলের প্রভাবে এই বিবাদ এর সূত্রপাত। ঘটনার পেছনে স্বদলীয় গোষ্ঠী কোন্দল প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেছেন প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, রবিবার রাধাষ্টমী তিথির দিনে অনুকূল ঠাকুরের উৎসব কে ঘিরে ব্রজপুর বাজারে উৎসবের আয়োজন চলছিল। সেখানেই স্বদলীয় ভিন গোষ্ঠীর এক ব্যক্তির বাড়িতে চলছিল মহাদেব পুজো। একই দিনে আবার দশমী ছিল। আর তাতেই আকণ্ঠ মদ্যপান করে অনুকূল ঠাকুরের উৎসব প্রাঙ্গনে কিছু উশৃঙ্খল যুবক আচমকা হামলে পরে। আর তাতেই দু পক্ষের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত ঘটে।
এর পর দুপক্ষের মারামারি তে গুরুতর আহত হয় বেশ কয়েকজন। জানা যায় আহতরা প্রত্যেকেই চড়িলাম মণ্ডল এর প্রাক্তন সভাপতি রাজকুমার দেবনাথ ঘনিষ্ঠ। আহতদের মধ্যে রয়েছে ব্রজপুর বাজারের পুরোহিত পলাশ চক্রবর্তী, ব্রজপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নারায়ন দাস , প্রান্তোষ দাস। এদিকে আক্রমণ কারীরা বর্তমান মণ্ডল সভাপতি তাপস দাস ঘনিষ্ঠ বলে খবর। এই নিয়ে আহত রা বিশালগড় থানার দ্বারস্থ হয়ে লিখিত আকারে মদ্যপ অভিযুক্ত দের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ।
ওদিকে ব্রজপুরের এই পরিস্থিতি জেনে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে গোটা বাজার চত্বরে। এই নিয়ে পুলিশ প্রশাসন তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান প্রাক্তন সভাপতি রাজকুমার দেবনাথ। যদিও তিনি স্বদলীয় গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। অন্যদিকে আহত রা নিজেরাই বয়ান দিয়েছে যে ভিন গোষ্ঠীর নেতার ঘনিষ্ঠ কিছু মদ্যপ যুবকেরা ইচ্ছে করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
সব মিলিয়ে সিপাহীজলা মহকুমাধিন চড়িলাম , ব্রজপুর এলাকায় বিজেপি বনাম বিজেপির এই বিবাদে তীব্র চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। দিকে দিকে দলের এই অন্দরমহলের বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে। এতে করে সাধারণ মানুষের ভরসা ক্রমশই ম্লান হয়ে যাচ্ছে রাজ্য বিজেপির উপর থেকে, এমনটাই মতামত রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের।