BJP Mass Joining : আগামী ১৩ ডিসেম্বর রবীন্দ্র ভবন প্রাঙ্গণে বিজেপির উদ্যোগে একটি বৃহৎ মহা যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এ উপলক্ষে আজ আগরতলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত ঘোষণা করেন বিজেপির জনজাতি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রদেশ বিজেপির সহ-সভাপতি ও এমডিসি বিমল চক্রবর্তী , এবং প্রদেশ মিডিয়া ইনচার্জ শুভম সরকার উপস্থিত ছিলেন।
এদিন তারা জানান, যোগদান কর্মসূচি ইতোমধ্যে রাজ্যের প্রতিটি মণ্ডলে শুরু হয়েছে। ২ ডিসেম্বর থেকে প্রতিটি মণ্ডলে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দলীয় হিসেব অনুযায়ী, এদিন ৫–৬ হাজার নতুন সদস্য বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। প্রাথমিক তালিকায় ইতোমধ্যে ৫ হাজারের বেশি নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
যানবাহন ব্যবস্থাপনাও চূড়ান্ত—
- সাবরুম ও সিপাহীজোলা দিক থেকে আসা গাড়ি উমাকান্ত মাঠে জমায়েত হবে।
- খোয়াই, আমবাসা, মজলিসপুর ও উত্তর ত্রিপুরার গাড়ির গন্তব্য **আস্তাবল মাঠ।
- খোয়াই অঞ্চলের আরও কিছু যানবাহন গোর্খাবস্তি এলাকায় পার্কিং করবে।
বিপিন দেববর্মা রাজনৈতিক উত্তাপ নিয়ে বক্তব্য রাখেন। সাম্প্রতিক হামলা প্রসঙ্গে তিনি তিপ্রা মথাকে ইঙ্গিত করে বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে জোটে থাকলেও এডিসিতে কোনো জোট নেই। সেখানে আমাদের লিডার অফ অপোজিশন দায়িত্ব পালন করছেন। তবুও আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে—এটাই তাদের দুর্বলতা।”
তিনি অভিযোগ করেন, তিপ্রা মথা নেতারা জানেন ২০২৬ সালে তারা ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন না, তাই আতঙ্ক থেকেই বিভিন্ন বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। দেববর্মার ভাষায়, “গুন্ডাগিরি করে বেশিদিন চলবে না। জানুয়ারির পর অনেক বিষয়ই স্পষ্ট হয়ে যাবে।”
এডিসিতে অর্থ না দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেন, সরকার নিয়মিত বাজেট এবং বিশেষ প্যাকেজ—দুই মাধ্যমেই অর্থ বরাদ্দ করেছে। তাদের কথায়, “তথ্য না জেনে মন্তব্য করা জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া কিছু নয়।”
সাংবাদিক সম্মেলনের শেষে বিপিন দেববর্মা বলেন, এই যোগদান সভাই দেখিয়ে দেবে বিজেপি কতটা সংগঠিত ও শক্তিশালী। তিনি পুরো ত্রিপুরার জনজাতি সম্প্রদায় এবং রাজ্যবাসীকে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
১৩ ডিসেম্বরের মহা যোগদান সভাকে কেন্দ্র করে বিজেপি তাদের শক্তি ও সংগঠনের বহর রাজ্যের সামনে তুলে ধরতে চাইছে। অন্যদিকে তিপ্রা মথার সঙ্গে রাজনৈতিক দূরত্ব ও এডিসি কেন্দ্রিক বিরোধ নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। সব মিলিয়ে এই অনুষ্ঠান শুধুই একটি যোগদান সভা নয়—এটি আগামী দিনের ত্রিপুরার রাজনৈতিক সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করছে।



