BJP goons attacked Gauranagar bloc office
এ কোন ত্রিপুরা? ধীরে ধীরে সন্ত্রাসের আস্তাকুরে পরিণত হচ্ছে ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরা।
সুশাসনের শ্লোগান তুললেও , ধীরে ধীরে ক্রমশ কুশাসনে ভরে যাচ্ছে ত্রিপুরা।
সুশাসনের ত্রিপুরায় সন্ত্রাস থেকে রেহাই পাচ্ছে না সরকারি দফতর গুলিও। সরকারি কর্মীদের মারধোর সহ, সরকারি দফতরে ভাংচুর চলে দিনে দুপুরে। সূত্রের দাবী, ভাংচুর কারীরা সকলেই শাসক বিজেপি দলের সক্রিয় কার্যকর্তা।
দিনে দুপুরে সরকারি অফিস চলাকালীন সময়ে অফিসের ভিতরে ঢুকে কম্পিউটার সহ আসবাবপত্র এলোমেলো করে সরকারি কর্মচারীদের প্রচন্ড ভাবে মারধোর করে পালিয়ে গেল দুষ্কৃতীকারীরা। সুশাসনের ত্রিপুরা আজ আবারো সাক্ষী রইলো এমনই এক নিন্দনীয় ঘটনার।
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হতেই রাজধানী থেকে রাজ্যের আনাচে কানাচে বহু সন্ত্রাসী আক্রমণের খবর উঠে আসছে। তারই মধ্যে আজ কৈলাশহর থেকে উঠে এসেছে সরকারি দফতরে কিছু সমাজদ্রোহীদের অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা হুজ্জুতির খবর।
ঘটনা কৈলাসহরের গৌরনগর ব্লক অফিসে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পনেরো জুন শনিবার দুপুর অনুমানিক দুইটা নাগাদ অফিস চলাকালীন সময়ে ব্লক অফিসের রুমে হঠাৎ করে নুরপুরের বাসিন্দা জুয়েল আহমেদ, আব্দুল কাদির এবং ইয়াজে খাওরা গ্রামের বাসিন্দা রাজিব আলী হঠাৎ করে অফিস কক্ষে প্রবেশ করে পুলকেশ নাগ নামে এক সরকারি কর্মী-কে মারধোর শুরু করে । এই ঘটনা লক্ষ্য করে পুলকেশ নাগকে আক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে উঠে দাঁড়ান উনার সহকর্মী পিংকি পাল চৌধুরী, তখন পিংকি দেবীর গায়ে ধাক্কা দিয়ে অফিস রুম থেকে বের করে দিয়ে আবারও বেধড়কভাবে পুলকেশ নাগকে মারধর করতে থাকে । মারধর করার পর অফিস কক্ষের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে কম্পিউটার এলোমেলো করে দেয় সেই দুষ্কৃতী কারীরা। হঠাৎ করে কেন এভাবে অফিস কক্ষে এসে এই ঘটনা সংঘটিত করলো তারা এই ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলকেশ বাবু কিছুই জানেন না বলে জানান। এই ঘটনার পর তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে অফিস কমপ্লেক্সে । একে একে সকলে জড়ো হতে থাকেন । খবর দেওয়া হয় কৈলাসহর থানায়। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে। পুলকেশ নাগের দাবী আক্রমণকারীরা তিনজনই শাসক বিজেপি দলের সক্রিয় সদস্য ।
ঘটনাটি কেন ঘটেছে সে নিয়ে কিছুই স্পষ্ট নয়। রাজনৈতিক কারণ ও হতে পারে কিংবা ব্যক্তিগত কারণ ও হতে পারে। আহত পুলকেশ নাগ এ বিষয়ে একেবারেই নিসচুপ।
এধরণের ঘটনা কিংবা সংস্কৃতি , ত্রিপুরার ইতিহাসে নজির বিহীন ঘটনা। সুশাসনের ত্রিপুরায় যেখানে সরকারি দফতরে কর্মরত কর্মীরাই নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন সেই রাজ্যের সাধারণ মানুষ প্রশাসনের কাছে কিই বা আশা করতে পারেন ?