Bisramganj News : অপরাধে আঁশটে পিষ্টে জড়িয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরা। পুলিশ প্রশাসন কে টুপি পরিয়ে দেদার অবৈধ নেশা বানিজ্য , পাচার ,চুরি , চামারি, অর্থ কেলেঙ্কারি চালিয়েই যাচ্ছে বিভিন্ন সমাজ বিরোধীরা। তাঁর নজির উঠে আসছে একের পর এক। প্রশাসন কে ফ্রি হ্যান্ড দিলেও প্রভাবশালী দের কারণে চাপের মুখে রয়েছে তারাও। সুশাসনের রাজ্যে মার খেতে হচ্ছে খোদ পুলিশ কেই।
এতো কিছুর মাঝেই আবারো লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার কে কেন্দ্র করে নতুন রূপে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার বিশ্রামগঞ্জ এলাকায় একটি ওয়াগনার গাড়ি তে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি প্যাকেটে ১৫ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর সেই সাথে আটক হয়েছে দুজন ।
কোত্থেকে এলো এই টাকা, তাঁর স্পষ্ট তথ্য কিংবা কোনো ধরণের বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি দুই যুবক । গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে উদ্ধার করে এই বিপুল নেশা সামগ্রী। একটি TR01BU0380 নম্বরের মারুতি ওয়াগনার গাড়ি আটক করে প্রায় ঘণ্টা খানে যাবত তল্লাশি চালায় পুলিশ ।
এক ঘন্টা তল্লাশির পর গাড়ির সিটের নিচে সিএনজি গ্যাসের একটি ট্যাঙ্কের পাশে কালো পলিথিনের মধ্যে মোড়ানো তিনটি প্যাকেট উদ্ধার করেন বিশ্রামগঞ্জ থানার ওসি অজিত দেববর্মা। খবর দেওয়া হয় সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব সূত্রধর এবং সোনামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শশী মোহন দেববর্মাকে। সিঙ্গে একজন ব্যাংক কর্মীকে থানায় নিয়ে আসা হয় । ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে সিসি ক্যামেরার সামনে মেশিন দিয়ে টাকা গুলো গুণে দেখা যায় প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকা রয়েছে এখানে। বেশিরভাগ ৫০০ টাকার বান্ডিল।
সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব সূত্রধর জানান মেলাঘর থেকে মারুতি ওয়াগনার গাড়ি করে গাড়ির চালক শাহিন মিয়া আগরতলা দিকে আসছিল এই টাকা নিয়ে । তার সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন মেলাঘর সুকান্তপল্লী এলাকার শান্তনু সাহা নামের অপর যুবক । পুলিশ দুজনকেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। তারা বর্তমানে থানায় রয়েছে। তবে এত বিশাল পরিমাণ টাকার উৎস কি? তারা এই বিশাল পরিমাণ টাকার কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
এগুলো কালো টাকা বলেই আপাতত অনুমান করা হচ্ছে। তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এই অর্থের উৎস কি তা নিয়ে আপাতত আর কিছুই জানা যায়নি। তদন্তে কি বেড়িয়ে আসবে আসল তথ্য ? সেটাই দেখার বিষয়।



