Bisramganj Maruti Incident : সম্প্রতি বিশ্রামগঞ্জ এলাকায় দিনের আলোতে ঘটে গেছে এক নেক্কার জনক ঘটনা। একটি চলন্ত মারুতি ভ্যান কে মাঝপথে আঁটকে গাড়ির চালক সহ গাড়িতে থাকা মহিলা শিশু সহ সকল যাত্রীদের কে মারধোর করে এক দল যুবক। এই ঘটনা আক্রান্ত দের একজন মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দী করেন। ততসঙ্গে বিশ্রামগঞ্জ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা ও দায়ের করেন তারা।
সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা ও পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনার ঝড় উঠে। আর তাতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এই নিয়ে তদন্ত চালিয়ে একজন কে গ্রেফতার করতে সফল হয় পুলিশ। আটক ব্যক্তির নাম বাপ্পা দেবনাথ বলে জানা গেছে। সে ঐ ঘটনার পরপরই গাঁ ঢাকা দেয়। তবে বেশি দূর নয়, খোদ রাজধানী আগরতলা তে একটি বেসরকারি হোটেলে লুকিয়ে ছিল বাপ্পা। তাকে শুক্রবার রাতে পশ্চিম থানা পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার করা গেছে।
পরে তাকে বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্তদের তালিকায় আরও ৩ থেকে ৪ জন রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের কেও খুঁজে বার করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে আটক বাপ্পার আরও এক পরিচয় সে রাষ্ট্র বাদী দলের চুনোপুঁটি নেতা।
বিশ্রামগঞ্জ তথা চরিলাম বিজেপি দলীয় নেতৃত্ব দের সাথে তার একাধিক ছবি রয়েছে। এছাড়া সে উক্ত দলের একজন কার্যকর্তা হিসেবেও পরিচিত। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সে প্রায়শই তার মাফিয়াগিরি জাহির করে বেরাতো বলে খবর। এদিনের ঘটনা ও কিছুটা সেই দাপট খাটাবার ই পন্থা। তবে আইনের ঊর্ধ্বে কেও নন।
মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা অক্ষরে অক্ষরে ফলিয়ে দেখালো পুলিশ। দল মত নির্বিশেষে দোষী কে তার দোষের জন্যে গ্রেফতার করলো পুলিশ। কিন্তু গল্প কি এখানেই শেষ ?
কথায় আছে হাতির দাঁত, দেখাবার জন্য এক , কাজের জন্যে আরেক। পুলিশ বাবুরা অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করেছে বটে। তবে তার উপযুক্ত শাস্তি হবে কিনা সেটা দেখা এখনো বাকি।
ওদিকে আরও বাকি অভিযুক্তদের ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্ব প্রাপ্ত তদন্তকারী অফিসার মিঠুন সাহা ।