Bisramganj Bus Incident Update : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিশ্রামগঞ্জ বাজারে গত মঙ্গলবার রাতে যাত্রী সহ বাস গাড়িতে আক্রমণ ও ভাংচুরের ঘটনায় বিশ্রামগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার ছয় অভিযুক্ত। পুলিশ গোপন খবরের ভিত্তিতে বিশ্রামগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে ছয় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেন।
সোমবার দুপুরে বিশ্রামগঞ্জ থানা থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে অভিযুক্তদের বিশালগড় মহকুমা আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। অভিযুক্তরা হলো মণিকুমার দেববর্মা, রুদ্র দেববর্মা, রাজু দেববর্মা, বিমল দেববর্মা,অমিত দেববর্মা, বিদ্যাসাগর দেববর্মা। গ্রেফতার এই ছয় অভিযুক্ত নিরপরাধ বাস গাড়ির যাত্রীদের উপর আক্রমণ করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য , এক জনজাতি তরুণী কে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করার ঘটনার জেরেই এদিন উত্তপ্ত হয়ে ছিল বিশ্রামগঞ্জ চত্বর। আর তাতেই ক্ষুব্ধ জনজাতি অংশের একদল লোক সঙ্গবদ্ধ ভাবে বাস গাড়িতে ভাংচুর চালিয়ে নিরপরাধ যাত্রীদের কে আহত করে। এই নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয় রাজ্য জুড়ে।
খবরাখবর এর তীব্রতায় এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এর নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রি । অতঃপর এই ঘটনায় তদন্ত মূলে একে একে দোষী দের গ্রেফতার করতে ময়দানে নেমে পরে পুলিশ। তদন্তে নেমে একের পর এক অভিযুক্ত কে জ্বালে তুলতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় তরুণী কে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করার কাণ্ডে ও দুজন কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বলা বাহুল্য, যানবাহনে যাত্রী ও নারী নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন বাণে বিদ্ধ হতে হয়েছে রাজ্য সরকার কে। রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই প্রশাসন তাৎক্ষণিক ভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে ময়দানে নেমেছে। যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় বিষয়। জাত পাত এর বালাই না করেই এবার অন্তত পক্ষে অন্যায় এর বিরুদ্ধে আইনের লাঠি পড়েছে।
রাজ্যের প্রত্যেক অপরাধ এর ক্ষেত্রেই যদি রাজ্য পুলিশ প্রশাসন এই নিরপেক্ষতা বজায় রেখে চলে তবে নিশ্চিত ভাবেই সুশাসনের ত্রিপুরা প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব।