Bishalgarh women PS
পুলিশ আপনার ভূমিকা কি? নাবালিকা উদ্ধার ও অভিযুক্ত কে আটক করতে আপনি কি ভূমিকা করেছেন? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি বিশালগড় থানার ওসি শিউলি দাস। পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা দেখে এবার থানায় ঢুকে এই সমস্ত প্রশ্ন করতে বাধ্য হল হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা। কেনই বা এই প্রশ্ন করলো হিন্দু জাগরণ মঞ্চ? তাহলে ঘটনা জানুন বিস্তারিত।
১১ই এপ্রিল মধুপুর এর বাসিন্দা এক নাবালিকা মেয়ে সেকেরকোট বাজার এলাকা নিখোঁজ হয়ে যায়। সেই সুত্রে নাবালিকার পরিবার বিশালগড় মহিলা থানায় একটি মামলা নথিভুক্ত করতে এলে ঘটনার বিবরন জেনে থানার ওসি শিউলি দাস বিষয় টি কে আমতলী থানায় রেফার করে দেন। পরিবারের সদস্যরা মামলা করতে আমতলী থানায় ছুটে গেলে সেখান থেকে মামলা পুনরায় পাঠানো হয় বিশালগড় মহিলা থানায়। এভাবেই কেটে যায় কয়েকদিন। অবশেষে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মেয়েটিকে উদ্ধার করা যায়। জানা যায় মেয়েটি আগরতলা বর্ডার সংলগ্ন কোনো এক মুসলিম যুবকের সাথে পালিয়ে যায় কিংবা তাঁকে অপহরন করে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনা জানতে পেরে তড়িঘড়ি বিশালগড় মহিলা থানায় ছুটে আসে বিশ্ব হিন্দু জাগরন মঞ্চ। উক্ত ঘটনা কে কেন্দ্র করে দোষীর বিরুদ্ধে কেন মামলা নেওয়া হচ্ছে না এবং দোষী কে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করছে না পুলিশ সেই প্রশ্ন করতেই মহিলা থানার ওসি চাপে পড়ে যান।
বিশালগড় চত্বরে কান পাতলেই শোনা যায় কিছু ভদ্রবেশী সঙ্গী নিয়ে বিশালগড় মহিলা থানাটাকে একটা কারখানা বানিয়ে ফেলেছেন ওসি শিউলি দাস। ধর্ষণ নারী নির্যাতন নাবালিকা অপহরনের মত গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ করলেও চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা এখন ভদ্রবেশী লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই অনায়াসে থানা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে অপরাধীরা। তাও আবার সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে।
এদিকে নাবালিকা মেয়েটি কোন রকম ভাবে বুধবার সকালে পালিয়ে এসে পরিবারের কাছে সমস্ত বিষয় খুলে বলে। বুধবার নাবালিকাকে নিয়ে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা বিশালগড় মহিলা থানায় এসে ওসি শিউলি দাস কে প্রশ্ন করলে তিনি প্রশ্নের সটিক উত্তর দিতে পারেননি। জানাযায় বিশালগড় মহিলা থানায় পকসো আইনে কোন ঘটনা আসলে তিনি প্রথমে ভদ্রবেশী বাবুদের খবর দেন। আর সেই বাবুরা বিশালগড় থানায় এসে রফাদফা করে চলে যান। সেই রফাদফা থেকে যা ইনকাম হয় তার একটা পার্সেন্টেজ সোজা চলে যায় ওসির ফান্ডে। এই সমস্ত ঘটনা প্রতিনিয়ত চলছে বিশালগড় মহিলা থানায়। এই বিষয়ে উপর মহলের অনেকেই অবগত আছেন বলেই দীর্ঘ এতো সময় যাবত শিউলি ম্যাডাম উনার এই রমরমা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ করা পদক্ষেপ নিক এমনটাই দাবী উঠছে স্থানীয়দের।