Bishalgarh Political Riot : সময় যতই বদলে যাক, বিশালগড় চেহারা থেকে গেছে যেই কি সেই অবস্থা তেই। পুজো পার্বণ ছাড়াই যে বিশালগড়ে বরাবরই রাজনৈতিক হামলা হুজ্জুতি সন্ত্রাস কায়েম থাকে সেখানে পুজোর দিনগুলো যে ভালো যাবে সেই ভুল ধারণা ও মানুষের ভেঙ্গে গেছে এবার।
রবিবার ছিল শারদীয়া দুর্গোৎসব এর ষষ্ঠী পুজোর দিন। আর এই ষষ্ঠীর রাতে বিশালগড় থানাধীন রতন নগর আচার্য পাড়া এলাকায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। শাসক বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকরা কংগ্রেস দলের কর্মী সমর্থকদের ওপর চড়াও হয়ে এবং তাদের কে মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে গুরুতর আহত হয় বিরোধী দুই কংগ্রেস দলের কর্মী সমর্থক।
বিশালগড় তরুণ সংঘ ক্লাব থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে রতন নগর। যেখানে এই কাণ্ড ঘটে। ওদিকে তরুণ সংঘ ক্লাব বিশালগড়ের নামি দামি পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে একটি। মায়ের আরাধনায় একদিকে যখন ক্লাব সদস্য সহ স্থানীয় বিজেপি দলের তাবড় তাবড় নেতারা ব্যস্ত, তখন ওদিকে তাদেরই দলের সমর্থক নামধারী কিছু দুষ্কৃতী রতন নগরে চালাচ্ছে সন্ত্রাস। এধরণের ঘটনার সাক্ষী বিগত বহু বছর ধরে হয়নি বিশালগড়।
তবে এবারের এই ঘটনায় বিশালগড় বাসীর মনে এটুকু বোধ জেগেছে যে ক্ষমতায় যে সরকারই থাকুক না কেন, বিশালগড়ে আদতে কখনোই শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। শারদোৎসবে ও যখন এধরণের ঘটনা ঘটতে পারে তাহলে বিশালগড়ে শান্তি বিজায় রাখতে কতটা সফল জনপ্রতিনিধি, সেই নিয়েও সন্দেহ জাগছে জনমনে।
২০২৩ সালে সুশান্ত দেব কে বিপুল ভোটে জয়ী করে বিশালগড় বাসী জনপ্রতিনিধির মর্যাদা দিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিশালগড় এর বিধায়ক পাল্টে গেলেও বিশালগড় এর অবয়ব কোনো দিকেই বদলায় নি। কংগ্রেস জোট আমলে যেমন সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর ছিল এই বিশালগড়, আজ বিজেপি মথা জোট আমলেও একই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হচ্ছে এই বিশালগড়ের মানুষ। তাহলে কি মানুষ এর নির্বাচন ভুল ছিল, আগামী নির্বাচনে কি তবে মানুষ তাদের সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলতে পারেন ? মানুষ ক্রমশই বিজেপি বিমুখ হতে শুরু করেছেন। যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বিশালগড়েও।