Bishalgarh News : বিশালগড় ক্রমেই অপরাধের সর্বোচ্চ শিখরে গিয়ে পৌছাচ্ছে । এমন এক দিন ও বাদ পরে না যখন বিশালগড় নিয়ে কোনো অপরাধের খবর উঠে আসেনা। মহকুমা প্রশাসন এর ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভে ফুসছেন জনগণ। কিন্তু তাতেও কিছুই কাজ হচ্ছেনা। অন্যদিকে নানাবিধ রাজনৈতিক চাপে পরে আন্দোলনে নামতে অব্দি ভয় পাচ্ছেন বিশালগড় বাসী। হয়তো সে কারণেই বিশালগড়ের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে না ।
প্রসঙ্গত, রোজকার মতোই সোমবারে ও বিশালগড় মূল সড়কে ঘটে গেল ছিন্তাই এর মতো এক দুঃসাহসিক ঘটনা। তবে এবারের ঘটনায় বেশ কিছু টুইস্ট রয়েছে। ছিন্তাই কারীরা কারা, তাদের সাথে গাড়ির মালিকের বা কি সম্পর্ক , এমন বহু প্রশ্ন রয়েছে যার উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ আগরতলা থেকে TR01D2832 নাম্বারের একটি ম্যাক্স গাড়ি সোনামুড়া উদ্দেশ্যে যাবার পথে রাস্তারমাথা সড়কে আচমকা কিছু ছিনতাই বাজের খপ্পরে পড়ে । ছিন্তাই বাজেরা গাড়িটিকে মাঝ পথে আঁটকে গাড়িতে থাকা বেশ কিছু জিনিস পত্র লুটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি দেখে গাড়িতে থাকা অন্য যাত্রীরা পালিয়ে যায়। শুধুমাত্র একজন মহিলা উনার ৮ বছরের কন্যা সন্তান কে নিয়ে বসে ছিলেন। গাড়িতে থাকা মালপত্র হাতিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় টানা হেঁচড়া চলাকালীন ছোট্ট মেয়েটি গাড়ি থেকে নীচে পরে গিয়ে গুরুতর আহত হয়।
তড়িঘড়ি ছিন্তাই বাজেরা পালিয়ে যায় এবং গাড়ি চালক শিশু ও তার মা কে নিয়ে ছুটে এসে বিশালগড় থানার দ্বারস্থ হয়। ঘটনার খবর পেয়ে বিশালগড় অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা গিয়ে শিশু টিকে উদ্ধার করে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। এদিকে গাড়িটি থানায় যাওয়ার পর বেড়িয়ে আসে আরও কিছু তথ্য।
উল্লেখ্য, গাড়িতে বেশ কিছু কস্মেটিক্স এর জিনিস ভরা বক্স এবং দামি মোবাইল ফোন ও মোবাইল কভার এর পেটি ছিল। যার আবার কোন বৈধ কাগজপত্র ছিল না। গাড়ির চালক নিজ দায়িত্বে এই জিনিস নিয়ে যাচ্ছিলেন এবং জিনিস গুলোর সাথে আরও লোক ছিল। যারা কিনা ছিন্তাই বাজ দের ভয়ে মাঝ পথেই জিনিস ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ কোনো কাগজ পত্র না পেয়ে জিনিস গুলো বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো বলে অনুমান করেছে। এদিকে গোটা ঘটনা নিয়ে আতংকের পরিবেশ।
তবে বিশালগড়ে এই ঘটনা কিন্তু প্রথম বার নয়। রোজ কোথাও না কোথাও এধরণের দুঃসাহসিক চুরি কিংবা ছিন্তাই এর মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে আম জনতার মধ্যে। অন্যদিকে অবৈধ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ও অন্যান্য জেলা ও মহকুমা থেকে এক ধাপ এগিয়ে বিশালগড়। তাই বিশালগড় এর এই অবস্থায় মানুষ তীব্র ক্ষোভে ফুসছেন। যে কোনো সময় বিশালগড়ে বড় ধরণের আন্দোলন হয়ে যেতে পারে, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বিশালগড়ে শান্তি সম্প্রীতি এবং অপরাধ দমনে শূন্য ভূমিকা পালন করছে জনপ্রতিনিধি , তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বেশিরভাগ রাজনৈতিক সন্ত্রাস এর ঘটনার ক্ষেত্রেই বিধায়ক এর পক্ষ থেকে কোনো ধরণের শান্তির বার্তা প্রদান কিংবা কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব ব্যাতিরেকে কাজ করার কোনো নজির উনি গড়ে তুলতে পারেন নি । যা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক এবং একজন জনপ্রতিনিধির জন্যে অত্যন্ত ব্যর্থতার বিষয়। অতঃপর আগামী দিনে বিশালগড়ের দায়িত্বে রাজ্য সরকার কে অন্য কাউকে বাছাই করে নেবে না, তাতেও কোনো নিশ্চয়তা নেই।