Bishalgarh Electricity News : উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে বলে দাবি বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের, তবে বাস্তব চিত্রে বিদ্যুৎ পরিষেবার ভোগান্তি এখন বিশালগড়বাসীর নিত্যসঙ্গী। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে কদমতলীসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
রবিবার সকাল থেকে রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত কদমতলীতে বিদ্যুৎ না থাকায় ক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করে। বহু পরিবার দিনভর অন্ধকারে কাটাতে বাধ্য হন, আর ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনায় মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বারবার ফোন করেও জাঙ্গালিয়া বিদ্যুৎ অফিস থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। শেষমেষ হতাশ জনতা রাতেই বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
এই ঘটনায় দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বিশালগড় থানার পুলিশ। তবে মানুষের প্রশ্ন—কতদিন এভাবে বিদ্যুৎহীন জীবন কাটাতে হবে?
এলাকার নাগরিকদের মতে, শিক্ষা ও কৃষি দপ্তরের কাজ ছেড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবায় প্রবেশ করেছেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। কিন্তু তাঁর দপ্তরের অব্যবস্থাপনার কারণে আজ সর্বত্র অচলাবস্থা। নেতাজিনগর, লক্ষ্মীবিল কিংবা বিশালগড় বাজার—সব জায়গায় একই চিত্র। প্রায় প্রতিদিন লোডশেডিং আর বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবন অতিষ্ঠ।
বিক্ষুব্ধ জনতার কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে স্পষ্ট ক্ষোভ—
“এ কেমন উন্নয়ন যেখানে বিদ্যুৎ নেই, আলো নেই, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে?”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ অফিসের একাংশ কর্মী নাকি দীর্ঘদিন ধরেই দায়িত্ব এড়িয়ে চলছেন। জনগণের অভিযোগ, দপ্তরের এই উদাসীনতা এবং অব্যবস্থাপনার কারণে সাধারণ মানুষ আজ পথে নেমেছে।
রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে—এই ক্ষোভ যদি আরও বাড়তে থাকে, তবে তার প্রভাব সরাসরি পড়বে আগামী ২০২৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। বিরোধী মহলও ইতিমধ্যেই শাসক দলের ‘উন্নয়নের যজ্ঞ’ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।
বিশালগড়ের মানুষ এখন একটাই দাবি তুলেছেন—“তৎক্ষণাৎ বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল করতে হবে।”
সাধারণ নাগরিকদের আশা, সরকার এবং দপ্তর এই দাবির প্রতি গুরুত্ব দেবে, নাহলে আগামী দিনে এই অসন্তোষ রাজনীতির মাটিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলবে।