Bihar Exlection Result : বিহার নির্বাচনের ফলাফলের দিকে বরাবরই নজর আজ গোটা দেশ বাসীর। ৬ই নভেম্বর ও ১১ই নভেম্বর দুটি পর্যায়ে ভোট গ্রহন চলে বিহারে। আজ তার গণনা। শুরুর দিকে আরজেডি কিছুটা এগিয়ে থাকলে ও বেলা যত গড়াচ্ছে তত পালা ভারী হচ্ছে এনডিএ জোট এর।
৫ম রাউন্ড এর ভোট গনতার পর বিহার নির্বাচনে এগিয়ে জেডিইউ। দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। ১৬১ সিটে এগিয়ে এনডিএ জোট। অন্যদিকে ৭৮ টি সিটে এগিয়ে ইন্ডিয়া জোট শিবির। ভোট চুরির তথ্য প্রচারের পরেও এনডিএ জোট এর ভোট বাক্স স্ফীতি নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে। ব্যাপক ব্যবধানে বিহারে এনডিএ সরকার গঠন করতে চললেও এই নির্বাচন কতটা স্বচ্ছ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে তা নিয়ে সন্দিহান বিহার।
ইতোমধ্যেই দুদিন পূর্বে সাসরামে ইভিএম বাক্স ভর্তি ট্রাক পৌঁছে গেছিলো বিনা নোটিশে। রাত দুটো থেকে বন্ধ ছিল সেখানকার সিসি ক্যামেরা। সব মিলিয়ে কি তবে আবারো ভোট চুরির শিকার আরযেডি ? বিহারে ভোট চুরি নিয়ে আগে থেকেই অভিযোগ করেছিল আরযে ডি। আজ ১৪ই নভেম্বর বিহারে গণনার ফলাফল প্রকাশ পেতেই সেই অভিযোগে শীলমোহর দিচ্ছেন ইন্ডিয়া জোট এর নেতৃত্বরা।
পবন খেরা বলছেন, এই ভোট এখন আর ইন্ডিয়া ভার্সেস এনডিএ নয় বরং ভারত বাসী ভার্সেস নির্বাচন কমিশন। এর থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে বিরোধী শিবির ভোট চুরির দিকে ইঙ্গিত করছে এবং এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সব চাইতে বড় সওয়াল । নির্বাচন কমিশন এর নিরপেক্ষ না থাকাটাই ভারতের গণতন্ত্র পতনের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এমনটাই অভিযোগ বিরোধী শিবিরে।
অন্যদিকে আরও এক নেতৃত্বের দাবী নির্বাচন কমিশন তো কেবল একটি গুটি মাত্র। এর পরিচালন ক্ষমতা উপরে। এই লড়াই ভারতের জনগণের সাথে মোদী জীর। কারণ কমিশন কে পরিচালনা উনি ই করছেন। বিহার নির্বাচনের ফলাফল তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
৫ম রাউন্ড এর গণনার পর আরও অভিযোগ উঠে আসছে বিহারের বিভিন্ন গণনা কেন্দ্র গুলিতে গণনা প্রক্রিয়া ধীর গতিতে চলছে। যা ভোট চুরির আরও এক পদ্ধতি বলেও বিবেচনা করা হচ্ছে। সার্বিক ভাবে বেলা ২টোর পরেই প্রকৃত ফলাফল প্রকাশ পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।



