Bangladeshi Illegal Entry Tripura : রাজ মিস্ত্রী রূপে ত্রিপুরায় বিচরণ করছে অবৈধ বাংলাদেশী। অথচ নেই কোনো তদন্ত, নেই কোনো খবর। বিগত এক মাস যাবত এক বাংলাদেশী যুবক অবৈধ ভাবে পিলাক দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করে এখানে সেখানে বিচরণ করছে , কিন্তু কেউ টের পায়নি। অবশেষে এক মাস পর ট্রেন যোগে জলপাই গুরি যাবার উদ্দেশ্যে রউনা দিতেই আটক ঐ যুবক। সঙ্গে আরও ৫ জন।
অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ বর্তমানে এ রাজ্য সহ গোটা দেশের জন্যে এক বড় ধরণের চিন্তার বিষয়। ত্রিপুরায় বরাবরই সবকটি রাজনৈতিক দল এই অনুপ্রবেশ রোখার ক্ষেত্রে তাদের সহমত পোষণ করছেন। রাজ্য সরকার গোয়েন্দা বিভাগ কে কাজে লাগিয়ে তাদের আটক ও করছে। কিন্তু তাঁর পরেও অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ নেই। এর পেছনে কারা দায়ী ? সীমান্তে ঢিলেঢালা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ? নাকি রাজ্যের বিস্তীর্ণ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া না দেওয়া ? নাকি এই রাজ্যের কিছু সমাজ বিরোধী ?
উল্লেখ্য, আগরতলা রেল স্টেশনের জিআরপি থানার ওসি হিসেবে তাপস দাস দায়িত্ব পালন করা কালীন রোজ অবৈধ বাংলাদেশী ধরা পড়েছে। কিন্তু উনার বদলি হতেই যেন এখন কিছুটা ঢিলে হয়ে পড়েছে রেল পুলিশ। আগরতলা তে ১৫ দিন যাবত বসবাস করে রেল যোগে আমবাসা পৌঁছে আমবাসা রেল স্টেশনে ধরা পরে ঐ যুবক উবাইদুল হক । সে জানায় তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলায়।
তাঁর সঙ্গে আরও ৫ জন ছিল। জানা যায় তারাও একই জেলার বাসিন্দা। গতকাল অর্থাৎ ২৫শে অক্টোবর তারা এ পারে আসে। আর আজকেই ধরা পরে যায়। এরা সকলে রেল যোগে জলপাই গুরি যাবার উদ্দেশ্যে রউনা হয়। বিগত এক মাস যাবত উবাইদুল এ রাজ্যে থেকে বিভিন্ন জায়গায় রাজ মিস্ত্রীর কাজ করেছে। জলপাই গুরি তেও একই কাজের উদ্দেশ্যে যাবার কথা ছিল।
এদিন গোপন খবরের ভিত্তিতে আমবাসা রেল স্টেশন থেকে এক শিশু সহ এই ছয়জন বাংলাদেশী নাগরিক কে আটক করেছে ১৫৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ। গত এক মাস আগে পিলাক এর এক ব্যক্তি ২ হাজার টাকার বিনিময়ে উবাইদুল কে এপারে ঢুকতে সাহায্য করে বলেও জানায় সে।
এখন প্রশ্ন হল, সীমান্তে বিএস এফ এর নজর টপকে এরা আসছে কিভাবে ? এলেও ত্রিপুরা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এর নজর ফাঁকি দিয়ে ৩০ দিন যাবত কিভাবে একজন বাংলাদেশী রাজ মিস্ত্রীর কাজ করে এখানকার বাসিন্দার মতই স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করছে ?
ত্রিপুরা সরকার , মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা বরাবরই ইল্যিগ্যাল মাইগ্রেন্টস এর বিষয় নিয়ে প্রশাসন কে ফ্রি হ্যান্ড দেওয়ার কথা বলেন। এই নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ও হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি আবাসনে। তাঁর পরেও সীমান্ত টপকে এপারে আসা বাংলাদেশীদের কারা মদত যোগাচ্ছে ? এভাবে চলতে থাকলে ত্রিপুরা ও গোটা ভারত বর্ষ এক অজানা সমস্যার সম্মুখীন হবে।



