Bangladeshi Elephant rescued
সীমান্তের বাঁধা মানেনি চন্দ্রতারা, বাংলার সীমানা পেড়িয়ে ভারতে এলো গজরাজ
বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক। কিন্তু সেই সমস্ত কিছু কে উপেক্ষা করেই আপন মনে ঘুরতে ঘুরতে উপার থেকে কাঁটাতারের বেরা ডিঙ্গিয়ে এপারে এলেন এবার এক গজরাজ। দেখতে সুশ্রী এই মাদি হাতির নাম চন্দ্রতারা। যাকে এক নজর দেখেই মন ভরে গেছে এপারের ভারত বাসীদের ও । কিন্তু এপারে কিভাবে এতো হাতি টি ?
ভারত বাংলাদেশের ভৌগোলিক ক্ষেত্রে কাঁটা তারের বেরা দেওয়া সীমান্তের হিসেব দুপারের মানুষ বুঝলে ও অবোধ জন্তু জানোয়ারেরা কিন্তু বোঝে না। আর তাই নিজের অজান্তেই মানুষ দ্বারা নির্মিত দুপারের এই সীমানা কে ডিঙ্গিয়ে ভারতে চলে আসে বাংলাদেশের মৌলবি বাজার জেলার এক বাসিন্দার পুশ্য হাতি।
বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার অন্তর্গত কুলাউড়া উপজেলা, কুলাউড়া থানার কর্মদা ডাকঘরের পাট্টাই গ্রামের বাসিন্দা আতিকুর রহমান পিতা আত্তর আলীর , চন্দ্রতারা নামের একটি পূষা মাদি হাতি গত 11 /9/ 2024 ইং তারিখে বাংলাদেশের ১৮৮১ নং সীমান্ত পিলারের পাশ দিয়ে ভারতের হালাম বাড়ী এলাকায় প্রবেশ করে । এই বিষয়টি হাতির মালিক ১২/ ৯/ ২০২৪ ইং তারিখে নিশ্চিত হন । বর্তমানে চন্দ্রতারা রয়েছে আমাদের ত্রিপুরার তেলিয়ামুরা মহকুমার রেঞ্জার অফিসে। যাকে ফিরে পেতে ওদিকে জোর প্রয়াস চালাচ্ছেন এর আসল মালিক আতিকুর রহমান।
১২ই সেপ্টেম্বর যখন আতিকুর জানতে পারেন যে চন্দ্রতারা এপারে ত্রিপুরার সীমান্তে ঢুকে পড়েছে তখন তিনি এই ঘটনাটি উনার নিকট আত্মীয় সাদ মিয়াকে অবহিত করলে চাঁদ মিয়া ও তার পুত্র শিমু আহমেদ ঘটনাস্থলে যান এবং হাতিটি সনাক্ত করেন। পরবর্তী সময়ে বিএসএফ ও বনবিভাগ হাতিটি আটক করে । হাতির মালিকের দাবি হাতিটি আটক হওয়ার পর পুনরায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসার চেষ্টা করে কিন্তু কাঁটাতারের বেড়ার কারণে বাধা প্রাপ্ত হয়। খবরে প্রকাশ ভারতের জনৈক দুইজন ব্যক্তি এই হাতিটির মালিকানা দাবি করেন। এই খবর যায় হাতির মালিক আতিকুর রহমানের কাছে তৎক্ষণাৎ আতিকুর রহমান হাতির ফটো ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উনার নিকট আত্মীয় জনাব ছাদ মিয়া ও শিমু আহমেদের মাধ্যমে বন বিভাগ ও বিএসএফের কাছে পৌঁছান। যেহেতু বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সেহেতু হাতির মালিক দাবি করা আতিকুর রহমান বাংলাদেশের কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যার নম্বর ৫৪৮। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বিজিবির সদর দপ্তরেও একটি অভিযোগ দায়ের করেন এমনটাই দাবি আতিকুর রহমানের। বিজিবির কাছে অভিযোগের পর বিএসএফ ও বিজিবি আধিকারিকের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয় । পতাকা বৈঠকে আতিকুর রহমান উনার হাতির সমস্ত বৈধ কাগজপত্র বিএসএফের হাতে তুলে দেন। কিন্তু যেহেতু হাতিটি বন বিভাগ তাদের অধীনে নিয়ে নিয়েছে সেহেতু বিএসএফ সেই হাতি বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারেনি আইনি জটিলতার কারণে। আতিকুর রহমানের নিকট আত্মীয়দের দাবি এই হাতি বর্তমানে ত্রিপুরা বন বিভাগের তেলিয়ামুড়া রেঞ্জ অফিসে রয়েছে। হাতির মালিকের দাবি উনি ছালেহ আহমদ নামে এক ব্যক্তিকে পাওয়ার অফ এটনি দিয়ে উনকোটি জেলার জেলাশাসকের আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। উনি বলেন ভারত একটি মহান রাষ্ট্র এই রাষ্ট্রের আইনের প্রতি উনার যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে । তিনি আশা প্রকাশ করছেন দ্রুত আইনি জটিলতা শেষ করে উনি উনার হাতিটি ফিরে পাবেন । আর সমস্ত আইনি জটিলতা শেষে চন্দ্রতারা কেও ফিরিয়ে দেওয়া হবে তার মালিকের কাছে এমনটাই আশ্বস্ত করা হয়েছে উনাকে। এবার দেখার বিষয় চন্দ্রতারা এবং আতিকুর রহমান এর সন্ধি হতে আর কত সময় বাকি।