Bamutia MLA Nayan Sarkar : ত্রিপুরার কালী বাজার রবিবার পরিণত হল এক রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রে! ৯ জুলাই দেশব্যাপী ধর্মঘটকে সামনে রেখে সিপিআইএম ও গণমুক্তি পরিষদের পক্ষ থেকে আয়োজিত মিছিল ও পথসভা আচমকাই রূপ নেয় উত্তপ্ত সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে।
সকাল থেকেই উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল। মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন বিধায়ক নয়ন সরকার, জিএমপি নেতা রাধা চরণ দেববর্মা, এবং অন্যান্য বাম নেতৃত্ব। মাইকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানান শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে। নয়ন সরকার সরাসরি অভিযোগ তোলেন, “২০২৩ সালের নির্বাচনে মানুষের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি জোট সরকার!
ঠিক সেই মুহূর্তেই চমক! ধর্মঘট বিরোধী স্লোগান তুলে একদল যুবক প্রবেশ করে সভাস্থলে। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছায়। প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির মিছিলও ঢুকে পড়ে কালী বাজারে, শুরু হয় পাল্টা স্লোগান, পাল্টা অভিযোগ। জনতা বিভক্ত—কে কার সঙ্গে যাবে!
অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। নেতৃত্বে ছিলেন লেফুঙ্গা থানার ওসি সহদেব দাস ও বামুটিয়া ফাঁড়ির ওসি অ্যান্থনি জমাটিয়া। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও রাস্তায় নামতে হয় পরিস্থিতি সামাল দিতে।
সিপিআইএম সভা শেষ করতে বাধ্য হয়। এরপর বিজেপি মঞ্চে উঠে যায়, নয়ন সরকারের বিরুদ্ধে নারী সংক্রান্ত ইস্যুতে তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
ঘটনার পর বিজেপি নেতা বলেন, “জনগণ বামেদের মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা আর সহ্য করছে না। উন্নয়নের রাস্তায় যারা বাধা দিতে আসে, মানুষ তাদের জবাব দিতে জানে।
বামফ্রন্টও চুপ করে থাকেনি। জিএমপি-র রাধা চরণ দেববর্মা সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন—“এটা আর সরকার নয়, এ এক ফ্যাসিস্ট শাসন!
একদিকে ধর্মঘটের আহ্বান, অন্যদিকে শাসক দলের পাল্টা প্রচার—দুই রাজনৈতিক শক্তির দ্বন্দ্বে উত্তাল কালী বাজার। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন, “এই উত্তেজনার রাজনীতি কবে শেষ হবে?