Bamutia Manik Sarkar : বামুটিয়া কালি বাজার এলাকার সিপিআইএম পার্টি অফিসে আজ অনুষ্ঠিত হলো রাজ্যের প্রখ্যাত বাম নেতা ও অবিভক্ত সদর জেলা কমিটির সাবেক সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জ্যোতিলাল দত্তের স্মরণ সভা। গত ১৫ নভেম্বর শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁকে স্মরণ করতে এদিনের সভার আয়োজন করে সিপিআইএম মহকুমা কমিটি।
স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে, প্রাক্তন সাংসদ শঙ্কর প্রসাদ দত্ত, সাবেক বিধায়ক ও অর্থমন্ত্রী ভানু লাল সাহা সহ বহু নেতাকর্মী। অনুষ্ঠানে পুরুষ-মহিলা সহ অঞ্চলের অসংখ্য বাম কর্মী ও সমর্থক উপস্থিত হয়ে প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
সভায় বক্তারা জ্যোতিলাল দত্তের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন, মানুষের সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক ও সংগঠন গঠনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্মৃতিচারণ করেন। মূল বক্তৃতায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, বামুটিয়া অঞ্চলে শ্রমজীবী, নিম্নবিত্ত ও কৃষিনির্ভর মানুষের মধ্যে বামপন্থী আন্দোলনকে শক্ত ভিত্তি দিতে জ্যোতিলাল দত্ত বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, একসময় কংগ্রেসের একচ্ছত্র প্রভাব থাকলেও কমিউনিস্ট কর্মীদের ত্যাগ, সংগ্রাম ও মানুষের সমস্যার পক্ষে নিরলস লড়াই জনগণের মনোভাবকে বদলে দেয়। আক্রমণ, মামলা, হামলা সত্ত্বেও লাল পতাকা না ছাড়ার সেই মনোভাবই এলাকায় বিকল্প বামপন্থী শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করে।
মানিক সরকার আরও বলেন, কংগ্রেসের নানা বাধা ও ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও সুরেন্দ্র রায়, পান্ডু মজুমদারদের পাশাপাশি জ্যোতিলাল দত্ত সংগঠনের বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। তাঁর প্রয়াণে দলের অপূরণীয় ক্ষতি হলেও তাঁর আদর্শ ভবিষ্যৎ সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
জ্যোতিলাল দত্তের প্রয়াণে বামুটিয়া সহ সমগ্র অঞ্চলে এক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান আগামী দিনে বাম আন্দোলনের কর্মীদের পথ দেখাবে। স্মরণ সভায় উপস্থিত নেতৃত্ব ও কর্মীরা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন—জ্যোতিলাল দত্তের আদর্শ, ত্যাগ ও লড়াইয়ের পথ অনুসরণ করেই তাঁরা জনগণের সমস্যার সমাধানে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন।



