Atal Bihari Vajpayee : ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবস। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য্য এবং দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্বরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তাঁর রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শকে স্মরণ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, “অটলজী শুধু একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি ছিলেন ভারতীয় রাজনীতির এক প্রেরণাদায়ী পুরুষ। তাঁর দূরদর্শী চিন্তাধারা এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের জন্য অনুকরণীয়।”
রাজীব ভট্টাচার্য্য বক্তব্য রাখতে গিয়ে অটল বিহারী বাজপেয়ীকে ভারত মাতার এক সত্যিকারের সুসন্তান এবং প্রখর রাষ্ট্রবাদী নেতা হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, কোটি কোটি কর্মীর জীবনে পথপ্রদর্শক হয়ে আজও বাজপেয়ীর ভাবনা প্রাসঙ্গিক। তাঁর মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক দর্শন আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি জোগাবে।
বক্তাদের বক্তব্যে উঠে আসে বাজপেয়ীর শাসনকালীন যুগান্তকারী পদক্ষেপগুলির প্রসঙ্গ। বিশেষত, সুশাসনের ধারায় তাঁর অবদান এবং উন্নয়নমুখী দৃষ্টিভঙ্গি দেশের সাধারণ মানুষকে নতুন আস্থা জুগিয়েছিল। ভট্টাচার্য্য উল্লেখ করেন, “মূল্য ও আদর্শকে সামনে রেখে রাজনীতির পথচলা শুরু করেছিলেন অটলজী। সেই পথেই ভারতবর্ষ প্রথমবারের মতো বিকাশ ও সুশাসনের যুগে প্রবেশ করে।”
তিনি বলেন, কেবল রাজনৈতিক নেতা হিসেবেই নয়, একজন কবি, চিন্তাবিদ এবং মানবিক হৃদয়ের মানুষ হিসেবেও অটল বিহারী বাজপেয়ী ভারতের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।
এই প্রয়াণ দিবসে দলের সকল স্তরের কর্মী-সমর্থকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সবাই একসঙ্গে অটলজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ভবিষ্যৎ কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে।
অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মশতবর্ষ উদযাপনকে সামনে রেখে ত্রিপুরা বিজেপি তাঁর চিন্তাধারাকে আগামী দিনে আরো বেশি করে মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।