Animesh Debbarma : তিপ্রা ল্যান্ডের দাবি ভুলে হঠাৎ বাঙালিদের পেছনে পড়ল তিপ্রামথা! রোহিঙ্গা ও বাঙালিদের পিঠের ছাল তুলে দেওয়ার হুমকি রাজ্যের মন্ত্রীসভার সদস্যের মুখে!
রাজ্য রাজনীতিতে আবারো বিতর্কের ঝড় তুললেন তিপ্রামথা নেতা ও বর্তমান মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা। সম্প্রতি সাব্রুমে তিপ্রামথার একটি রাজনৈতিক মিছিলে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এমন কিছু উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন, যা শুধু বিভ্রান্তিকরই নয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে আঘাত করার মতো।
এদিন তিনি বলেন, বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের পিটিয়ে ফেরত পাঠানো উচিত, ওদের পিঠের চামড়া লাল করে দিতে হবে” — এমনই মারমুখী মন্তব্য করেন তিনি। একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর মুখে এমন মন্তব্য শুধু নিন্দনীয়ই নয়, তা আইনশৃঙ্খলার উপরও গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজ্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তবে এটাই প্রথম নয় — এর আগেও অনিমেষ বাবু একাধিকবার বাঙালি জনগোষ্ঠীকে উদ্দেশ্য করে উস্কানিমূলক ভাষা ব্যবহার করেছেন। এই প্রশ্ন এখন উঠে আসছে — তিপ্রা ল্যান্ডের দাবি থেকে মন সরিয়ে কি এখন বাঙালিদের টার্গেট করে রাজনীতির ময়দানে নতুন খেলা শুরু করেছে তিপ্রামথা?
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভাজনের রাজনীতি?
তিপ্রামথার রাজনীতি মূলত উপজাতি অধিকার ও স্বশাসনের দাবিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক বক্তব্য ও কর্মসূচি থেকে যে সুর বেরিয়ে আসছে, তা ক্রমেই এক ভয়ঙ্কর বিভাজনের দিকে যাচ্ছে। বিশেষত, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ইস্যুকে সামনে রেখে, যেভাবে বাঙালি জনগোষ্ঠীকে নিশানা করা হচ্ছে, তাতে রাজ্যের বহু মানুষ আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ।
প্রশ্ন উঠে আসছে তিপ্রামথা কি এখন আদিবাসীদের স্বার্থ নয়, বরং বহিরাগত-বিরোধী বিভাজনমূলক রাজনীতিকে হাতিয়ার বানিয়ে ক্ষমতা বাড়িয়ে রাখার খেলায় নেমেছে? তবে একজন মন্ত্রীর এমন বক্তব্য রাজ্যের সামাজিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। এ ধরনের প্রকাশ্য উস্কানি দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন — এ কী কেবল রাজনীতির কৌশল, না কি রাজ্যকে গৃহযুদ্ধের মুখে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা?