Ananda Marg School : মধুপুর আনন্দ মার্গ স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল জাঁকজমক পূর্ণ ভাবে। উল্লেখ্য, সিপাহীজলা জেলার অন্তর্গত মধুপুর আনন্দমার্গ স্কুল প্রতি বছরই এই বর্ণাঢ্য আয়োজনে মিলিত হয়ে থাকে। এবারেও তার ভিন্ন হয়নি।
উৎসব এর মেজাজে আয়োজিত বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সকাল থেকেই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয় ছোট থেকে বড় সকল শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। সকলের উপস্থিতিতে সাফল্য মণ্ডিত হয় আনন্দ মার্গের এই বার্ষিক উৎসব।
এদিন অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন সিপাহীজলা জেলার ভুক্তি প্রধান ননীগোপাল দেবনাথ, পঞ্চমুখ আনন্দমার্গ স্কুলের প্রিন্সিপাল আচার্য অভয় ব্রহ্মচারী সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। মহান দার্শনিক জগৎগুরু শ্রী শ্রী আনন্দ মূর্তিজীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আরম্ভ হয় ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিশ্রামগঞ্জ আনন্দমার্গ স্কুলের চেয়ারম্যান স্বপন সেন, কমলা সাগর এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক কাজল সরকার, বিশিষ্ট সংবাদ ব্যক্তিত্ব প্রসেনজিৎ রায়, গৌতম ঘোষ , স্কুলের চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ রুদ্র পাল প্রমুখ। তাঁদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান আরও আনন্দ মুখর ও গৌরবান্বিত হয়ে ওঠে।
প্রভাত সঙ্গীত দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় ছিল মনোজ্ঞ নৃত্য, সঙ্গীত ও বিভিন্ন পরিবেশনা পরিলক্ষিত হয়। স্কুলের ক্ষুদে শিল্পীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে পরিবেশ ছিল অত্যন্ত প্রাণচঞ্চল ও আনন্দমুখর। দর্শকদের করতালিতে বারবার মুখরিত হয়ে ওঠে সমগ্র প্রাঙ্গণ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এ দিনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল জাদু প্রদর্শনী। যা শিশু থেকে প্রবীণ—সব দর্শক কেই ব্যাপক আনন্দ দিয়েছে। সারা অনুষ্ঠান জুড়েই ছিল উচ্ছ্বাস, হাসি ও আনন্দের স্রোত।
অনুষ্ঠানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক অভিভাবক ও স্থানীয় মানুষজন উপস্থিত থেকে আনন্দ ভাগ করে নেন। সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় এক সফল, সুশৃঙ্খল ও স্মরণীয় আয়োজন হিসেবে।
অবশেষে এদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের একেবারে অন্তিম পর্বে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের হাতে পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেন ভুক্তি প্রধান ননী গোপাল দেবনাথ সহ অন্যান্য অতিথিরা । পাশাপাশি একাডেমিক ক্ষেত্রে মেধা ও সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে এদিন সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
ছাত্রছাত্রীদের মানসিক, শারীরিক ও নৈতিক বিকাশ ঘটাতে হলে এই ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অবশ্যই তাৎপর্য পূর্ণ বলে এদিন নিজ বক্তব্যে তুলে ধরেন বিদ্যালয় প্রিন্সিপাল দীপক রুদ্র পাল। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে বিদ্যালয়ের তরফ থেকে আশা ব্যক্ত করা হয়েছে।



