Amtali Ps News : আমতলী থানার হাপানিয়া ও অশ্বিনী মার্কেট এলাকায় সোমবার ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। চোর সন্দেহে তিন যুবক–যুবতীকে আটক করে জনতার সামনে তাঁদের মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে দেবাশিষ দে নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে দেবাশিষ দে’র বাড়িতে যান তার ভাগ্নে তন্ময় মালাকার, সঙ্গে ছিলেন তন্ময়ের পরিচিত দুইজন—মাসুম মিয়া এবং মধুরিমা দেবনাথ। অভিযোগ, দেবাশিষ দে তাঁদের চোর সন্দেহে প্রথমে কথা কাটাকাটি এবং পরে শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে স্থানীয় কয়েকজনও ঘটনাস্থলে জড়ো হন এবং তিনজনের মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁদের অপমানজনক ভিডিও ধারণ করা হয় বলেও অভিযোগ।
ঘটনার পর সন্ধ্যায় নির্যাতিতাদের একজন মধুরিমা দেবনাথ আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলাটি নথিভুক্ত হয় নম্বর ১২৩/২০২৫ হিসেবে, যেখানে বিএনএস অ্যাক্টের ৩৫২, ৩৫৬, ৭৪ ও ১১৫ ধারাসহ আরও কয়েকটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত দেবাশিষ দে’র বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
থানার ওসি পরিতোষ দাস জানান, তিনজন ওই বাড়িতে কেন গিয়েছিলেন তা তদন্তের অংশ হিসেবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতেই শারীরিক নির্যাতন বা অপমানজনক আচরণ আইনত অপরাধ এবং তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোও তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয়দের মধ্যে এ ঘটনার পর ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ দাবি করেছেন, আটক হওয়া যুবক-যুবতীরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নেশাজাতীয় সামগ্রী নিয়ে ঘোরাফেরা করতেন, আবার অন্যদের মতে, আত্মবিচারের প্রবণতা বাড়তে থাকায় সাধারণ মানুষ অযথা ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের বক্তব্য, নেশা সামগ্রী সম্পর্কিত অভিযোগগুলোও যাচাই করা হবে, তবে কোনোভাবেই উত্তেজিত জনতার হাতে বিচার কার্য পরিচালনার সুযোগ নেই।
ঘটনাটি বর্তমানে পূর্ণ তদন্তাধীন, এবং পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে যে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।
কিন্তু এখন প্রশ্ন পুলিশ কেন নেশা কারবারিদের বিষয়ে কোনো কথায় বলেন নি? কি রয়েছে এর পিছনে মূল রহস্য সেটাই এখন দেখার।



