Amtali Beauty Das Case : গার্হস্থ্য হিংসার বলি আরও এক অসহায় গৃহবধূ। ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী কে গলা টিপে হত্যা করলো স্বামী। রাতভর স্ত্রীর নিথর দেহের পাশে বসে রইলো। সকালে আবার নিজেই স্ত্রী কে নিয়ে গেল হাসপাতালে। ডাক্তার বাবু মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করতেই পালালো স্বামী। আবার নিজেই এসে ধরা দিলো পুলিশের কাছে। মর্মান্তিক ও রোমাঞ্চকর ঘটনাটি ঘটে গেল আমতলী থানাধীন এলাকায়।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, শনিবার গভীর রাতে আমতলী হরিওম অযাচক আশ্রম সংলগ্ন এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে স্বামী স্ত্রীর বিবাদের জের ধরেই গৃহবধূ খুন হয়েছেন। নিহত গৃহবধূর নাম বিউটি দাস। স্বামীর নাম জগন্নাথ দাস। ঐ এলাকার তপন সরকারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ঐ দম্পতি। তাদের নিজস্ব বাড়ি বিশালগড় গৌতম কলোনি এলাকায়।
এদিন পারিবারিক বিবাদের জেরে প্রথমে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বিবাদ বাঁধে। পরে অস্বাভাবিক রাগের জেরে নিজ হাতেই স্ত্রীর গলায় টিপে ধরে স্বামী জগন্নাথ দাস। অতঃপর মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে বিউটি দাস। গোটা রাত স্ত্রীর পাশেই বসে থাকে জগন্নাথ। শেষে সকালের দিকে স্ত্রী কে নিয়ে যায় হাঁপানিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসকরা বিউটি দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
তখন ঘটনা বেগতিক বুঝতে পেরে অভিযুক্ত স্বামী জগন্নাথ দাস হাসপাতাল থেকেই পালিয়ে যায়। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরই অভিযুক্ত স্বামী জগন্নাথ দাস আমতলী থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে এবং স্ত্রীকে খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে। সঙ্গে সঙ্গেই আমতলী থানার পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী জগন্নাথ দাস কে আটক করে।
এই ঘটনায় রবিবার দুপুরে আমতলী থানায় একটি খুনের মামলা নথিভুক্ত করে ঘটনাস্থলে আমতলী থানার ওসি পরিতোষ দাস আমতলির এসডিপিও পারমিতা পান্ডে, ফরেনসিক টিম এবং ডগ স্কোয়াড তদন্তে আসে।
জানা গেছে রবিবার বিউটি দাসের মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর তার পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই খুনের ঘটনায় আমতলীর এসডিপিও পারমিতা পান্ডে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন। গোটা আমতলী এলাকা জুড়ে বিউটি দাস এর হত্যা কাণ্ড নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। গার্হস্থ্য হিংসার পরিণতি যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে তাঁর আরও এক জলজ্যান্ত প্রমাণ এই ঘটনা।



