A.R. Rahaman gets apart
সংসার ভাঙ্গছে দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী এ আর রহমানের, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খোদ স্ত্রী সায়রা
বিল গেটস হোক কিংবা ঋত্বিক রশান – বিশ্বের ধনী ব্যক্তি হোক বা বিশ্বের সব চাইতে সুন্দর পুরুষ । বৈবাহিক সম্পর্ক অর্থ কিংবা সৌন্দর্য কোনোটা তেই যে নির্ভরশীল নয় তা বার বার প্রমানিত হয়েছে। বাংলা সঙ্গীত ইন্ডাস্ট্রিতে অনুপম এর বিবাহ বিচ্ছেদ এর খবরে ও ভেঙ্গে পড়েছিলেন শ্রোতা মহল। ভাবছিলেন , অনুপম কে ও ছেড়ে দেওয়া যায় ? এটাও সম্ভব ?
এবার একই প্রশ্ন আবারো , তবে এবার অনুপম নয়। এবার বিবাহ বিচ্ছেদের শোকে আচ্ছাদিত বলিউডের বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী এ আর রহমান।
স্ত্রী সায়রা বানোর সাথে ২৯ বছর আগে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এতো বছরের সংসারে তাদের ফুটফুটে একজন পুত্র ও দুজন কন্যা সন্তান রয়েছে। এবার সেই সম্পর্কেই ইতি টানতে চলেছেন স্ত্রী সায়রা। এই দাম্পত্য জীবনে ইতি টানার প্রসঙ্গে সায়রার বক্তব্য , দীর্ঘ বহু বছর যাবত এক সাথে সংসার করলেও তাদের মাঝে একটা বিশাল দুরত্ব তৈরি হয়েছে। মনের মধ্যে ভালবাসা থাকলেও, দুজনেই সম্পর্ক টাকে জোর করে আটকে ধরে রেখছেন এতদিন। এই সম্পর্কে থেকে সায়রা মানসিক ভাবে অনেকটা বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন। তাই আলাদা হওয়াটাই উভয়ের জন্যে ভালো সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে সায়রা ও রহমান এর সামাজিক নিয়ম মতে বিয়ে হয়। রহমান একজন প্রসিদ্ধ মিউজিশিয়ান ছিলেন। উনার কাছে মেয়ে খোঁজা বা প্রেম করার মতো সময় ছিল না। তাই মায়ের পছন্দ করা সায়রা কেই বিয়ে করেন। এই নিয়ে অবশ্য সমস্যা হয়নি। কিন্তু অস্কার জয়ী রহমান এর কাজের চাপ দিনে দিনে এতটা বেশি বাড়ে যে সাংসারিক জীবন কিংবা স্ত্রী কে সময় দেওয়াটা হয়তো হয়ে উঠেনি তেমন ভাবে। আর এর থেকেই দুরত্বের সূত্রপাত।
এ আর রহমান , জন্মগত ভাবে একজন হিন্দু ধর্মীয় ব্যক্তি। যার আসল নাম দিলীপ কুমার। কিন্তু বেশ কিছু কারণে উনি ব্যক্তিগত ভাবেই ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে এ আর রহমান করেন। উনার মা একজন প্রকৃত হিন্দু হলেও ছেলের এই সিদ্ধান্তে অমত হন নি।
তবে প্রসিদ্ধ গায়কের বিবাহ জীবনের ইতি টানার খবরে আবারো এক অপ্রত্যাশিত স্তব্ধতায় ভুগছেন অনুগামীরা।