A bunch of complaint regards parliamentary poll Tripura

ভোট নয় , এ যেন প্রহসন। অভিযোগ বিরোধী দের। কেননা ভোট ভোটের মতো করে হয়নি। হয়েছে সন্ত্রাস, হয়েছে ছাপ্পাবাজি।
কথা হচ্ছে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের নির্বাচন ও রামনগর উপ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে। শাসক বিজেপির পক্ষ থেকে ফেয়ার ইলেকশানের দাবী উঠলেও এক গুচ্ছ সন্ত্রাসের অভিযোগ এনে পুনরায় নির্বাচনের আর্জি রেখেছেন বিরোধী শিবির।
১৯শে এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়। দিন শেষে গোটা পশ্চিম আসন জুড়ে ৮১.৫২ % ভোট পড়েছে বলে তথ্য পেশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আর তাতেই খুশি পদ্ম শিবির। কিন্তু বিরোধী দের অভিযোগ থামছে না। সকাল থেকেই ভোট গ্রহন শুরুর কিছুখনের মধ্যেই বিভিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটতে শুরু হয়। পোলিং স্টেশন থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বেড় করা দেওয়া হয় পোলিং এজেন্ট দের। ৯০ % পোলিং স্টেশনে এজেন্ট দিতে পারেনি বিরোধীরা। কেননা আগে থেকেই এজেন্ট দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি ধমকি দিয়ে আসা হয়েছে।
উল্লেখ থাকে ভোটের ঠিক আগের দিন পশ্চিম আসনের বিজেপি প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব বুথ সভাপতিদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন ৯০ শতাংশ ভোট করানো হয়। আর সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে বুথ সভাপতিরা। দক্ষিন ত্রিপুরা থেকে উঠে আসা খবর অনুযায়ী প্রত্যেকটি পোলিং স্টেশন থেকে বিরোধী এজেন্ট দের বেড় করে দেওয়া হয় জোর পূর্বক। তার কিছু ভিডিও ফুটেজ ও আমাদের কাছে রয়েছে।
ভোট দাতাদের মধ্যে থেকে বিরোধী দলীয় সমর্থকদের টেনে হিঁচড়ে বেড় করে দেওয়া হয়েছে। কাউ কাউকে বাড়ি তে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে । আবার কোথাও কোথাও মাঝ পথ থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ভোটারদের। সেক্ষেত্রে চরম দায়িত্ব হীনতার পরিচয় দিয়েছে নিরাপত্তা রক্ষীরা। কিছু কিছু জায়গায় তাদের কেই দেখা গেল সন্ত্রাসী চরিত্রে। এমনকি দক্ষিন ত্রিপুরায় নিরাপত্তা রক্ষী দাড়াই আহত হয়েছেন দুই সংবাদ কর্মীও।

সব শেষে বলা যায় , বাম হোক কিংবা রাম উভয় আমলেই ভোট নিয়ে সন্ত্রাস চলাটা একটা নিয়মিত ঘটনা। কিন্তু বর্তমান ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্বাচন দুটোই সম্পূর্ণ ভাবে কলুষিত। যেখানে খোদ প্রিসাইডিং অফিসারেরা নিরপেক্ষ ভাবে নিজের কাজ করতে ব্যর্থ। এমনকি গত কাল এই বিক্ষিপ্ত ঘটনা গুলো ঘটে যাওয়ার পরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো রূপ একশান নেয়নি নির্বাচন কমিশন। সুতরাং ভোটের নামে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে এক প্রকার প্রহসন হয়েছে। ২৬শে এপ্রিল ও পূর্ব ত্রিপুরা তে এমনটাই হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিরোধী শিবির।

Leave A Reply