Amra Bangali News : আমরা বাঙালী রাজ্য কমিটির উদ্যোগে জনস্বার্থ সম্পর্কিত সাত দফা দাবি নিয়ে জেলা শাসকের মারফতে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নিকট এক ডেপুটেশন প্রদান করা হয় সোমবার। রাজ্যের জনসাধারণের স্বার্থে দাবি গুলো যেন গুরুত্বের সহিত বিচার বিবেচনা করে বাস্তবায়ন করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই দাবি জানানো হয়েছে ।
আমরা বাঙালী দলের পক্ষ থেকে যে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে সেগুলি নিম্ন রূপ,
১। সম্প্রতি ২৩ শে অক্টোবরে শান্তির বাজারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। এই সমস্যার সমাধানে ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় দল নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্ৰহণ করে আইন ভঙ্গকারী দের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্ৰহণ সহ ক্ষতি গ্রস্তদের পূর্ণ ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
২। বিগত দিনে ট্রাকে করে ছোট ছোট গাড়িতে করে রাজ্যে নেশা জাতীয় দ্রব্য আসতো বলে খবর পাওয়া যেতো। সরকারের ও প্রশাসনের নীরবতায় এখন ত্রিপুরা রাজ্যে রেলের ওয়াগন ভরে অহরহ নেশা জাতীয় সামগ্ৰী আসছে । সংবাদ মাধ্যমের খবরের পর প্রশাসনের কিছু টনক নড়েছে। অথচ এই নেশার কারবার বাম আমল থেকেই শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে আমরা বাঙালী।
এখন প্রশাসন ও দলীয় কিছু লোককে খুশি করে এই নেশা কারবারীরা ত্রিপুরাকে নেশার স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করেছে। আর এই নেশার কবলে পড়ে ত্রিপুরার জাতি জনজাতি উভয় অংশের ছেলে মেয়েরা অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে, বিপথে পরিচালিত হচ্ছে, চুরি ছিন্তাই কাণ্ড ঘটাচ্ছে। এই নিয়ে রাজ্যের জনসাধারণ খুবই উদ্বিগ্নের মধ্যে আছে যে কে কখন এই নেশার কবলে মৃত্যুবরণ করে।
এই ছোট্ট ত্রিপুরা আজ চোরাচালান কারবারীদের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। শুধু মাঝে মাঝে খবরের জেরে পুলিশ নামকে ওয়াস্তে লোক দেখানো দহরম মহরম করে ঠিক কিন্তু আসল দোষীদের আটক করেনা । আজ পর্যন্ত এই নেশা কারবারীদের একজনকে ও সাজা দিতে পারেনি রাজ্যের প্রশাসন। তাই আমরা বাঙালী দল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এই ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছে।
৩) রাজ্যের বেকার সমস্যা সর্বকালীন রেকর্ড অতিক্রম করেছে অবিলম্বে স্পেশাল ড্রাইবের মাধ্যমে সমস্ত শূন্যপদ গুলো পূরণের ব্যবস্থা করতে হবে বলে দাবী জানায় আমরা বাঙালী ।
৪) রাজ্যের কাঁচামাল কে কাজে লাগিয়ে ব্লক ভিত্তিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ১০০ শতাংশ স্থানীয় মানুষ তথা বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫) অবিলম্বে সরকারকে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে রোজ ভ্যালির টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৬) নতুন করে বৈদ্যুতিক মাশুল বৃদ্ধি ও স্মার্ট মিটার লাগানোর সিদ্ধান্তকে বাতিল করতে হবে।
৭)রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য সব ধরনের নেশা কারক দ্রব্যের লাইসেন্স দেওয়া চলবে না।
এদিন আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে যে সমস্ত দাবী গুলো তুলে ধরা হয়েছে তাঁর যৌক্তিকতা স্বীকার করেছেন জেলা শাসক এবং অতিসত্বর তা মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
