Tripura BJP Mandwi Relly : ঐ যে , কাজ নেই তো খই ভাঁজ। বিজেপির হয়েছে ঠিক অমন দশা। ফোকাসে থাকতে কিছু একটা তো চাই। তাই যে কোনো কিছু কে ইস্যু বানিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে এরা। ত্রিপুরার পাহাড়ের জনজাতি দের কষ্টের দিনে যাদের পাশে পাওয়া যায়না তারাই এখন জনজাতি দের সংস্কৃতি কে অপমানিত করার ইস্যু নিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার আমবাসায় বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী কে কালো পয়াতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক শ্লোগান দেয় বিজেপির জনজাতি মোর্চা। উনি নাকি জনজাতি দের ট্রেডীশানাল পোশাক রিশা কে অপমানিত করেছেন। সেই নিয়ে উনাকে ক্ষমা চাইতে দাবী তুলেন তারা।
এদিনই এই ঘটনা প্রসঙ্গে উনি নিজের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, রিশা এমন একটি বস্ত্র যাকে আজকাল মানুষ মাথায়, গলায় কিংবা কাঁধে পরিধান করে। উনি একটি রিশা উনার চেয়ারে উনার মেরুদণ্ড বরাবর রেখে একটি সাংবাদিক সন্মেলন করেছিলেন। উনার মেরুদণ্ড বরাবর ছিল রিশা টি। উনি এর মধ্যে দিয়ে রিশা কে অপমানিত নয় বরং আরও বেশি সন্মান প্রদান করেছেন।
উনার এই স্পষ্টীকরণ সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হতেই আজ বৃহস্পতিবার আবারো আন্দোলনে মুখরিত বিজেপির জনজাতি সমর্থকেরা। এদিন ১১ মান্দাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি সমর্থিত দের পক্ষ থেকে উনার এই প্রতিক্রিয়া কে ধিক জানিয়ে আবারো প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
বলা বাহুল্য ত্রিপুরা রাজ্যে, বাসস্থান, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সব কিছু যেখানে একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে সেই সমস্ত ইস্যু নিয়ে কথা বলার মত মানসিকতা কিংবা ইচ্ছে নেই যাদের তারা ক্ষণে ক্ষণে কিছু অবাঞ্চিত ইস্যু কে ঘিরে ক্যামেরার ফোকাসে টিকে থাকার রাস্তা খুঁজে চলেছে। এমনটাই বার্তা দিচ্ছেন বিরোধী শিবির গুলো।
এদিনের এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি ১১ মান্দাই বাজার মণ্ডল সভাপতি অভিজিৎ দেববর্মা,মণ্ডল সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দেববর্মা সহ দলীয় কর্মী সমর্থকরা। তারা দাবী করেছেন যে বিজেপি সরকার তাদের জন্যে অভূতপূর্ব কাজ করেছে, যা বামেরা কখনোই করেনি। যদিও ত্রিপুরার ২৫ বছরের বাম আমলে জনজাতিরা কতটা উন্নত হয়েছে তার প্রমাণ আজো লিপিবদ্ধও রয়েছে সরকারি দফতরের খাতে।