Pradyut Bikram Manikya Delhi : কটা প্রবাদ আছে, বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি। ত্রিপুরার রাজ্য রাজনীতিতে দফায় দফায় বিভিন্ন দিজ্ঞজ রাজনীতি বিদেরা তাদের বিপরীত বুদ্ধি খাটিয়ে এমন এমন কিছু কাণ্ড কারখানা করে চলেছেন যা নিয়ে লিখলে অন্তঃ নেই। এমনই কিছু একটা বলে ফোকাসে আসতে চাইছেন এবার তিপ্রা মথার সাবেক সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোর মানিক্য।
তিপ্রাসাদের দাবী দাওয়া নিয়ে কথা বলতে দিল্লী ছুটে যান কদিন বাদে বাদেই। এবার উনার দলেরই আরেক নেতা ডেভিড মুড়া সিং পায়ে হেটে দিল্লী রউনা হন। এক সময় নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু জাতির উদ্দেশ্যে ডাক দিয়েছিলেন , দিল্লী চলো। তবে উনার উদ্দেশ্য ছিল নিঃস্বার্থ এবং জাতির জন্যে। একই ভাবে ডেভিড ও দিল্লী চলো ডাক দিয়েছেন। তবে এর পেছনে সবটাই স্বার্থে টইটুম্বুর।
যাই হোক, দিল্লী পৌঁছে এক সুবিশাল সভা আয়োজন করেন রারা। সেখানে আবার প্রক্সি ছিলেন প্রদ্যুত মানিক্য, ততসঙ্গে উনার বড় দিদি তথা বিজেপির টিকিটে পূর্ব লোকসভা আসন থেকে জয়ী কৃতি দেবী সিং। তাদের সামনেই প্রদ্যুত মানিক্য মঞ্চে উঠে কড়া ভাষায় ভাষণ রাখতে থাকেন। আর সেখানেই গলা ফাটিয়ে উনি দাবী করেন, “আগরতলার মালিক আমি , প্রদ্যুত বিক্রম মানিক্য দেববর্মা। আর বাকিরা ভাড়াটিয়া”।
ব্যাস, এখানেই বেঁধে যায় লঙ্কা কাণ্ড। এই বক্তব্য মুহূর্তের মধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পরে। আর তাতেই দিকে দিকে প্রদ্যুত বাবুর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেন ত্রিপুরার আপামর জনগণ। বিশেষত বাঙালিরা।
অতঃপর এই নিয়ে বুধবার আমরা বাঙালি সংগঠন থেকে শুরু করে আরও অনেকেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। তবে একটু ভিন্ন ধর্মী কাজ করতে দেখা গেল আগরতলার কিছু সাধারণ নাগরিক দের। কয়েকজন যুবক একত্রিত হয়ে এদিন আগরতলা পোস্ট অফিস চৌমুহনী স্থিত ডাক ঘরে উপস্থিত হয়ে প্রদ্যুত মানিক্যের নামে চিঠি পাঠান।
সাংবাদিকেরা তাদের কে দেখে প্রশ্ন করেন, আপনারা এখানে কার উদ্দেশ্যে কি চিঠি পাঠাতে এসেছেন। তারা জানান, প্রদ্যুত বাবুর উদ্দেশ্যেই তাদের এই চিঠি। তারা সবাই মিলে মানি অর্ডারের মধ্যে দিয়ে আগরতলার স্বঘোষিত মালিক প্রদ্যুত বাবু কে ১০০ টাকা করে ভাড়া প্রদান করেছেন। ততসঙ্গে তারা প্রশ্ন রেখছেন, উনি আর কত টাকা ভাড়া পাওনা আছেন এবং কাদের কাদের কাছ থেকে উনি এই ভাড়া নেবেন । যদি উনি জানিয়ে দেন তাহলে বাকিরা ও এসে উনাকে বকেয়া ভাড়া টুকু দিয়ে যাবে।
এক প্রকার ব্যাঙ্গাত্মক ছলেই এই কর্মসূচী করা হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজ আমল ফুরিয়ে গিয়ে গনতন্ত্র কায়েম থাকলেও প্রদ্যুত বাবু নিজের রাজা ভাব ছাড়তেই পারছেন না। উনার পূর্ব পুরুষেরাই যেখানে ত্রিপুরা কে ভারতের অঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গণতান্ত্রিক রাজ্যের মর্যাদা দিয়ে গেল আজ হঠাৎ উনি উড়ে এসে জুড়ে বসে সেই রাজ্যের , সেই রাজধানীর মালিকানা দাবী করেন। এটা যেকারো পক্ষেই মানা অসম্ভব।