Gold Trafficking Issue Sonamura : ত্রিপুরার সোনামুড়া মহকুমায় ঘটে গেল হৃদয় বিদারক ঘটনা। সোনা পাচার চক্রের সাথে যুক্ত থেকে অবশেষে প্রাণ খোয়াল এক তরতাজা যুবক। মৃতের নাম সুলেমান হোসেন , বয়স ২২ বছর।
সীমান্তবর্তী সোনামুড়া এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতী দ্বারা সুপরিকল্পিত ভাবে সুলেমান কে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। এই নিয়ে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মহকুমা জুড়ে।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ পায়, সীমান্তবর্তী সোনামুড়া এলাকার কাঁটা তার ডিঙ্গিয়ে বাংলাদেশ থেকে কিছু পাচারকারী এপারের এক চক্রের সাথে আঁতাত করে সোনা পাচার কারবার চালিয়ে আসছে বহুদিন যাবত। বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত বেড়ার ওপর দিয়ে ঢিল ছুড়ে এপারে স্বর্ণ পাচার করতো পাচারকারী চক্র।আর সেই স্বর্ণ সংগ্রহের দায়িত্বে ছিল সুলেমান। তার সাথেই রুখসানা বেগম নামের এক মহিলা যুক্ত ছিল।
গত তিন দিন আগে বাংলাদেশ থেকে সীমান্তের বেড়া টপকে ১ কোটি ২০ হাজার টাকার সোনার বিস্কিট এর প্যাকেট এপারে ফেলে পাচার চক্র। সেই প্যাকেট সংগ্রহের দায়িত্বে ছিল সুলেমান। কিন্তু সে জানায় সে কোনো প্যাকেট পায়নি। এই নিয়েই সুলেমান কে টার্গেট করে পাচার কারীরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে পাচার চক্রের ৪ থেকে ৫ জন মিলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সুলেমান তার মা কে রাত আড়াই টা নাগাদ ফোন করে জানায় যে তাকে মারধোর করা হচ্ছে। এর পর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়না।
সকালে সুলেমানের মৃতদেহ সোনামুড়া হাসপাতাল চত্বর থেকে উদ্ধার হয়। দুষ্কৃতী রা তাকে মেরে গাড়ি করে নিয়ে এসে এখানে ফেলে পালিয়ে যায়। এদিকে ঘটনা নিয়ে সবিস্তারে জানিয়েছেন সুলেমান এর পরিবার।
অন্যদিকে রুখসানা বেগম কে সীমান্ত গ্রাম এন.সি নগর থেকে তুলে নিয়ে জিয়ে জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। সে নিজেও এই পাচার চক্রের সদস্য ছিল। তাকে হেফাজতে রেখে তদন্ত চালিয়ে দোষী দের খুঁজে বার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এদিকে সোনামুড়া মহকুমায় সোনা পাচার কাণ্ড নিয়ে একদিকে যেমন জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে, তেমনি সুলেমান এর এই করুন পরিণতি দেখেও মানুষ হতবাক হয়ে পড়েছেন। পাচার বানিজ্যে ত্রিপুরা হয়ে উঠেছে উন্মুক্ত করিডোর। অন্যদিকে এই অপরাধ জগতের সাথে যুক্ত হয়ে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে উঠতি বয়সের যুবকেরা। এই নিয়ে গোটা মহকুমা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের পরিবেশ কায়েম রয়েছে।