Bishalgarh Electric Bill : ত্রিপুরার বিদ্যুৎ এখন সোনার চেয়েও দামি। ১৫০০ টাকায় মিলছে মাত্র ৭ ইউনিট বিদ্যুৎ। ত্রিপল ইঞ্জিনের সরকারের এই নজির বিহীন উন্নয়নে ভোগান্তিতে লক্ষ লক্ষ গ্রাহক।
বিদ্যুৎ বিলের নামে নিত্য হয়রানীর শিকার হয়ে চলেছেন রাজ্যের মানুষ। রোজ কোথাও না কোথাও থেকে গ্রাহকেরা এই বাড়তি বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছেন। এবার এমনই এক অভিযোগ উঠে এলো বিশালগড় মহকুমা থেকে। যেখানে এক ক্ষুদ্র মিষ্টির দোকানী কে বিদ্যুৎ বিলের নামে ভারী মাপের খেসারৎ দিতে হয়েছে । ১৫০০ টাকা বিল রিচারজ করিয়ে তিনি পেয়েছেন মাত্র ৭ ইউনিট ।
কারী কারী টাকা বিদ্যুৎ বিলের নামে লুটে নিচ্ছে বিদ্যুৎ দপ্তর। তার আরও এক প্রমাণ পাওয়া গেল সোমবার এই ঘটনা থেকে। ১৫০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল রিচারজ করে গ্রাহকের মিটারে ঢুকল মাত্র ৭ ইউনিট বিদ্যুৎ। ঘটনা বিশালগড় করইমুরা এলাকায়। সোমবার সকালে বিশালগড় করইমুড়ার ক্ষুদ্র মিষ্টির দোকানী অমরেশ দেবনাথ নামে এক বিদ্যুৎ গ্রাহক জাঙ্গালিয়া বিদ্যুৎ অফিসে ১৫০০ টাকা রিচার্জ করে ৭ ইউনিট বিদ্যুৎ পান ।
তা দেখে স্বভাবতই হতাশ হয়ে পড়েন বিদ্যুৎ গ্রাহক। গরীব মানুষ তিনি, ৫-৬ জন মেয়ে রয়েছে। সামান্য মিষ্টির দোকান চালিয়ে কোনোক্রমে দু বেলার খাবার জোটে। এই অবস্থায় বিদ্যুৎ এর বিল যদি এতো বেশি পরিমাণে দিতে হয় তাহলে না খেয়ে মরতে হবে।
প্রত্যেক বার তিনি একটু বাড়তি পরিমানেই বিদ্যুৎ এর বিল রিচারজ করান। কিন্তু কোন সময়ই এমন হয়নি। এই প্রথম তার বিদ্যুৎ মিটারে এতো কম পরিমাণে বিদ্যুৎ ইউনিট ধুকেছে। যা দেখে তিনি বুঝতেই পারছেন না যে এতো টাকা গেল কোথায়?
পরবর্তী সময়ে গ্রাহক বিদ্যুৎ অফিসে সিনিয়র ম্যানেজার আসিস বণিকের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি গ্রাহক কে বলেন ম্যাডাম আসলে আপনাকে দেখিয়ে দেবে । কিন্তু আর দেখানো হয়নি। এইভাবে বিদ্যুতের গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বিদ্যুৎ দপ্তর।
নিত্যদিন এধরণের অভিযোগ উঠে আসছে। গরীব , দুঃস্থ মানুষ যেখানে দু বেলা খাবার রোজগার কোর্টে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে বিদ্যুৎ দপ্তর এর বেলেল্লাপনায় কারী কারী টাকা লুট হচ্ছে। সেটা বুঝতে বাকি থাকছে না। এর পরেও বিদ্যুৎ মন্ত্রী কিভাবে একে সাশ্রয় মূলক স্মার্ট মিটার বলে দাবী করছেন, সেটা ভেবেই অবাক মানুষ। তবে কি সত্যিই এই স্মার্ট মিটার স্মার্ট উপায়ে মানুষের অর্থ লুটের ফন্দী ?
দিকে দিকে মানুষ এই অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। একটা অংশ এমনও বলছেন যে বিদ্যুৎ দপ্তরের এই বাড়তি মাশুল গোনার খেসারৎ দিতে হবে আগামী দিনে রাজ্য বিজেপি কে। রাজ্যের মানুষ এই হয়রানীর জেরে আগামী নির্বাচনে বিজেপি সরকার কেই যেন বিদায় না দিয়ে দেন, এমনটাও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই।