Sudip Roy Barman : ত্রিপুরার বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, “বাঙালির সঙ্গে যেন একটা এলার্জির সম্পর্ক রয়েছে বিজেপির । বাংলা ভাষা শুনলেই মনে করে আমরা বাংলাদেশি!”
ত্রিপুরা ও অন্যান্য রাজ্যে বাঙালিদের বিরুদ্ধে বৈষম্য নিয়ে সরব হয়ে সুদীপবাবু বলেন, “আজ পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা বা অসমের বহু শিক্ষিত বাঙালি যুবক-যুবতী চাকরির জন্য পুণে, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদে যাচ্ছে। কিন্তু ওখানে বাংলা বললেই পুলিশ আইডি চায়, থানায় নিয়ে যেতে চায়। কতদিন ধরে আছেন, কোথা থেকে এসেছেন—এসব প্রশ্ন উঠে। এটা বিজেপির মাইন্ডসেট।”
ভাষা দিয়ে নয়, কাগজপত্রে চিনুন অনুপ্রবেশকারীকে
তিনি আরও বলেন, “আমি বাংলাদেশিদের পক্ষে নই। যারা বেআইনিভাবে এদেশে ঢুকেছে, তাদের পুশব্যাক করুন। কিন্তু আপনি একজন ভারতীয় নাগরিককে কেবল তার ভাষা বা পোশাক দিয়ে বিচার করবেন কেন?
“ধর্ম আর ভাষা দিয়ে ভাগ করে চলেছে বিজেপি”
সুদীপ রায় বর্মনের মতে, বিজেপি ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি করে। তিনি বলেন, “ওদের দৃষ্টিতে কে কোন ধর্মের সেটা ওরা পোশাক দেখে ঠিক করে ফেলে। এ এক ভয়ঙ্কর মনোভাব। বাঙালিদের নিয়ে বিশেষ করে অসম, গুজরাট, মহারাষ্ট্রে যে ধরনের অপমানজনক আচরণ হচ্ছে, সেটা অনভিপ্রেত ও নিন্দনীয়।”
“বাংলা বললেই সন্দেহ?”
তাঁর প্রশ্ন—“যে ভারতীয় নাগরিক বাংলা ভাষায় কথা বলে, সে কি সন্দেহের চোখে পড়বে? তাহলে তো ভারতের বহু ভাষা ও জাতির অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন ওঠে!”
তিনি ভাষা, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের ভিত্তিতে মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ বজায় রাখার আহ্বান জানান, এবং প্রশাসনকে বলেন যেন সুশৃঙ্খল ও মানবিকভাবে বৈধতা যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হয়, কিন্তু কোনোভাবেই বাঙালি পরিচয়কে টার্গেট করে হয়রানি না করা হয়।