Nalchar BJP News : জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী এখন নাকি শনির সাড়ে সাতি দশা চলছে। আর এই সাড়ে সাতি দশার প্রভাব যেন সরসরি পরে গেছে কিছু বিজেপি দলীয় নেতা নেত্রীদের রাশি তে। কারণ ত্রিপুরায় এখনো বিভিন্ন সময় বিজেপি নেতা নেত্রী দের অপকর্ম আর দুর্নীতির কেচ্ছা প্রকাশ পাচ্ছে। যার আরও এক ঝলক উঠে এলো নলছড় এলাকা থেকে। এবার কিনা মহিলা দের প্রাপ্য স্টাইপেন্ড এর টাকা গ্রাস করার অপরাধে বিজেপি নেতা কে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হল কারেন্টের খুঁটির সাথে। এর চাইতেও বড় লজ্জা কি আর কিছু হতে পারে ?
কথা হচ্ছে নলছড় বিধানসভা কেন্দ্রের বগাবাসা এলাকা কে নিয়ে। সেখানে কয়েক মাস পূর্বে এলাকার মহিলাদের কে বাঁশ বেতের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্যে এক প্রশিক্ষণ শালা শুরু হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশিক্ষণ নিতে আসা মহিলাদের কে স্টাইপেন্ড বাবদ নগদ অর্থ প্রদানের কথা ছিল। সেই মোতাবেক মহিলারা এই কর্মশালায় যোগদান করেন। যা পরিচালনার দায়িত্ব পান ঐ এলাকার বিজেপি নেতা তথা ওবিসি মোর্চার সদস্য নিমাই দেবনাথ। উনিই ছিলেন ট্রেনিং মাস্টার।
কয়েক মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও স্টাইপেন্ড এর টাকা পাননি মহিলারা। এই নিয়ে নিমাই বাবুর সাথে বারবার যোগাযোগ করলেও উনি তাল বাহানা করে টাকা ঘুরিয়েছেন। অতঃপর মহিলারা জানতে পারেন যে তাদের স্টাইপেন্ড এর প্রায় ৬ লক্ষ টাকা গো গ্রাসে গিলে ফেলেছেন ঐ নিমাই মাস্টার। আর তা জানার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মহিলারা।
অতঃপর রবিবার সকালে নলছড় বগাবাসা এলাকায় ঐ ট্রেনিং মাস্টার এর বাড়িতে যৌথভাবে হানা দিয়ে তার বাড়ি ঘেরাও করা হয় প্রথমে। পরে মাস্টার নিমাই দেবনাথ কে আটক করে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় মূল সড়কের পাশে থাকা একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে। মহিলাদের দাবী তাদের কে তৎক্ষণাৎ তাদের টাকা দিতে হবে। ফ্যাসাদে পরে নিমাই বাবুর অবস্থা যেন , “ছেড়ে দে মা কেঁদে বাচি “ ঠিক ওরকম।
এই নিয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্যে সড়ক ও অবরোধ করে রাখ প্রমীলা বাহিনী। অবশেষে আশ্বাস পেয়ে অবরোধ ছারেন তারা। বলা বাহুল্য, শাসক দলের নেতা হবার জোর ও অহংকারে নিমাই দেবনাথ এতটা অন্ধ হয়ে গেছিলেন যে তার এই অপকান্ড কে ধরা ও পরে যেতে পারে তা উনি বুঝতেই পারেন নি । এধরণের লোকেরা নানাভাবে আড়ালে আবডালে লুকিয়ে আছে বিজেপি দলে। এদের কে খুঁজে বেড় করতে না পারলে এভাবেই শাসক দলের ক্ষমতা খাটিয়ে এরা মানুষের হকের পয়সা লুটে খাবে। এই বিষয় গুলোর দিকে রাজ্য বিজেপির নজর দাড়ি একান্ত প্রয়োজনীয় বলেই মনে করা হচ্ছে।