Why ED searched in Tripura
ইডির তলবে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য, ধরা পড়বে কি আসল রাঘব বোয়াল?
হাতে চলে এসছে সম্পূর্ণ তথ্য। কেন ত্রিপুরায় ইডির আচমকা হানা? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল অনেকের মনেই। সন্দেহ ছিল অবৈধ মাদক বাণিজ্যের সাথে যুক্ত হতে পারে এই অভিযানের সূত্র। আর ঠিক সেই সন্দেহেই শিলমোহর পড়তে চলেছে। কারণ , খবর অনুযায়ী শুধু মাত্র অবৈধ বানিজ্য নয় , অবৈধ আর্থিক লেনদেন কে ঘিরেও বেশ কয়েক জনের নাম উঠে আসায় ইডি শুক্রবার সকাল সকাল এই অভিযান চালায় রাজ্যের তিন জেলায় ৭ জনের বাড়িতে।
অবৈধ আর্থিক লেনদেন এবং মাদক পাচার নেটওয়ার্কের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) শুক্রবার পশ্চিম, গোমতী এবং সিপাহিজলা জেলায় সাতজনের বাড়িতে এই অভিযান চালায়।
এদিন ইডি ত্রিপুরাজুড়ে নেশার বাণিজ্যে জড়িত, বিশেষ করে গাঁজা এবং ইয়াবা ট্যাবলেটের ব্যবসার সাথে জড়িতদের লক্ষ্য করে একযোগে অভিযান শুরু করেছে বলে খবর উঠে আসছে।
ইডি সিপাহিজলা জেলার তিনটি বাড়িতে অভিযান চালায়। যার মধ্যে রয়েছে উত্তর কলমচৌড়ার অপু রঞ্জন দাস (৩৮), রামপদ পাড়ার বিশু ত্রিপুরা এবং বিশালগড়ের তাপস দেবনাথ (৪২)।
পশ্চিম জেলায়, এমবিবি. ক্লাবের কাছে বরদোয়ালি বণিক পাড়ার দেবব্রত দে (৪৩), নন্দননগর সরকার পাড়ার কামিনী দেবব্রমা (৫২) এবং টাউন শিব নগরের লিটন সাহার (৪৬) বাসস্থানে এই অভিযান চালানো হয়। দক্ষিণ জেলার সাব্রুমের ধ্রুব মজুমদারের নাম উঠে আসে, কিন্তু গকুলনগরে তার শ্বশুর অমল বৈদ্যের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। উল্লেখ্য অমল বৈদ্য একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ হেড কনস্টেবল।
ইডির এই অভিযানে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ২৫০ জন কর্মী সহায়তা করেছেন।
অভিযান মূলে বেশ কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও নথিপত্র সন্দেহজনক গতিবিধির কারনে জব্দ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে এখনো পর্যন্ত সবটাই অস্পষ্ট। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে বিদেশী লেনদেনের সাথে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক কার্যকলাপ সহ বৃহৎ আকারের অবৈধ আর্থিক লেনদেনের হদিশ মিলেছে বলেও সূত্রের খবর।
মানব পাচার সংক্রান্ত বিষয়টি এখনো যদিও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে নেশা বাণিজ্যের সাথে উতপ্রত ভাবে এই জন ৭ এক জড়িত রয়েছে এবং সেই বাণিজ্যের কালো টাকার লেনদেন সংক্রান্ত আরও তথ্য ঘেঁটে দেখছে ইডি।
ত্রিপুরা থেকে নেশা বানিজ্য কে সমূলে উৎখাত করতে এটা একটা বিশাল রকমের পদক্ষেপ বলা যেতেই পারে। কিছুদিন আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত সাহ রাজ্যে এনইসি এর বৈঠকে যোগ দিয়ে এই বিষয় গুলি উত্থাপন করেছিলেন। আর তার কিছুদিন বাদেই রাজ্যে ইডির এই আকস্মিক তলব, আগামী দিনে রাজ্যে নেশা বাণিজ্যের সাথে যুক্ত অনেকেরই রাতের ঘুম কেরে নেবার মতো কাজ করেছে। তবে এই সব কিছুর পেছনে আরও কোনো হেভিওয়েট ব্যক্তি কিংবা নেতৃত্ব জড়িয়ে আছে কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষা মাত্র।