Dharmanagar school student
হায় রে গণতন্ত্র ! এই বুঝি তোমার রূপ ? বাক স্বাধীনতা টুকুও কি হারিয়েছে এই দেশের মানুষ ?
কথা বলার অধিকার নেই, প্রতিবাদের অধিকার নেই, বিক্ষোভের অধিকার নেই। শিক্ষার মেরুদণ্ড ভেঙ্গে গেলে সেই শিক্ষা কে বাঁচাতে যদি শিক্ষার্থী প্রতিবাদী হয়ে উঠে তবে এই একবিংশ শতকে নেতাদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় তাদের !
এ ঘটনা শুধু রাজ্যের নয়, গোটা মানব জাতির জন্যে এবং রাজ্য ও দেশের সরকারের জন্যেও লজ্জা জনক।
গত মঙ্গলবার শিক্ষক বদলির বিষয় কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ধর্মনগর। শিক্ষার্থীদের চরম ক্ষোভ প্রকাশ পায় জাতীয় সড়কে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়ে স্বর চরিয়ে তারা বলে “ আমাদের স্যার কে বদলি করা যাবে না।“
আর তাতেই বাঁধে বিপত্তি। কতিপয় বিজেপি নামধারী নেতারা তাদের দাদাগিরি দেখাতে গিয়ে কোমল মতি ছাত্র ছাত্রীদের উপর যেন হামলে পরে। আর তাতেই বেশ কিছু ছাত্রী অচৈতন্য হয়ে লুটিয়ে পরে মাটিতে। উল্লেখ্য এদিন আনন্দবাজার জীবন ত্রিপুরা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা পথ অবরোধে বসে ছিল এবং সেই পথ অবরোধে শাসক দল নামধারী কিছু উশৃঙ্খল ব্যক্তিরা ওই ছাত্রছাত্রীদের সাথে অমাণবিক আচরণ করে, ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজ সহ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হাত পর্যন্ত তুলে। যার প্রভাবে বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। অসুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় পরে সেখানে তাদের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে দশম শ্রেণীতে পাঠরত ১৬ বছরের এক ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার জিবি হাসপাতালে রেফার করে দেয়।
জানা গেছে সেদিনের ঘটনার প্রভাব এই ছাত্রীর উপর এতটাই খারাপ ভাবে পরেছে যে এই নাবালিকা ছাত্রীটি এখনো কিছুক্ষণ পরপর অজ্ঞান হয়ে পড়ছে । বর্তমানে সে জিবি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তাকে সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসকরা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তবুও আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন না। নাবালিকা ছাত্রীর মা শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন শাসক দলের নেতা নামধারী উশৃঙ্খল ব্যক্তিদের কারণেই ওনার মেয়ের আজ এই অবস্থা। জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেই মেয়ের চিকিৎসার খরচ চালাতেও হিমশিম খাচ্ছে তার পরিবার। যার ফলে অসুস্থ নাবালিকা ছাত্রীর মা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মেয়ের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন।
গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী কিংবা শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত তেমন ভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া চোখে পড়েনি। এমনকি ঘটনা জানার পরেও দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেবার প্রয়োজন কিংবা অসুস্থ ছাত্রীর খোঁজ নেবার প্রয়োজন বোধ করেননি খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। এমতাবস্থায় ছাত্রীর মায়ের আর্জি কি আদৌ প্রভাব ফেলবে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর চেতনায়?