Ramjaan-e-eid mubaarak
বিভিদের মাঝে দেখো , মিলন মহান” – ছোটবেলায় প্রায় প্রত্যেকেই এই লাইনটা একবার হলেও পড়েছি কিংবা শুনেছি। যা আমাদের অনুভব করায় যে আমরা এমন একটি দেশে বসবাস করি যেখানে বিভিন্ন জাতি ধর্ম বর্ণ থাকা সত্বেও সবার মাঝে একটা একতা বা ঐক্য বিরাজমান।
আজ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের শ্রেষ্ঠ উৎসব ঈদ – উল- ফেতর। আজকের দিনটি তাদের কাছে ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ যতটা হিন্দু দের কাছে মা দুর্গা কিংবা অন্য দেবতাদের পুজোর গুরুত্ব রয়েছে। আজ গোটা বিশ্বের সাথে ভারত বর্ষ এবং আমাদের ত্রিপুরা রাজ্যের প্রায় সবকটি মসজিদে এই ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। যাতে শুধু মাত্র যে ইসলাম ভাইয়েরা অংশ নিচ্ছেন তা নয়, কিছু কিছু জায়গায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী রা ও এই ঈদের দাওয়াতে অংশগ্রহণ করেন ।
ইদ-উল-ফেতর কখন পালিত হয়?
ইসলামিক ক্যালেন্ডার মতে বছরের দশম মাসে অর্থাৎ শাওয়াল মাসের প্রথম চাঁদ দেখা গেলেই ঈদের দিন ঘোষণা হয়। সাধারণত সৌদি আরবে যেদিন ঈদ পালন হয়, তার ঠিক পরের দিন ভারতে ঈদ পালন হয়। সেই অর্থে সৌদি আরবে ১০ই এপ্রিল ঈদ পালিত হয়েছে। এই বছর রমজান মাস শুরু হয়ছিল গত ১১ই মার্চ। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা এই এক মাস ধরে রোজা পালন করেছেন।
নিয়মানুসারে যদি ৯ এপ্রিল আকাশে চাঁদ দেখা যায়, তাহলে ১০ এপ্রিল ঈদ পালন হবে। আর ১০ এপ্রিল চাঁদ দেখা গেলে ঈদ পালন হবে ১১ এপ্রিল।সেই হিসেবে ভারতে ১০ই এপ্রিল চাঁদ চোখে পড়ায় আজ ১১ই এপ্রিল ভারত বর্ষে ঈদ পালিত হচ্ছে।
ঈদ-উল-ফেতরের গুরুত্ব কি?
হিন্দু বাঙ্গালীদের কাছে যেমন দুর্গা পুজো বছরের সবচাইতে বড় উৎসব তেমনি মুসলিম দের কাছে ইদ-উল-ফেতর তাদের সর্ব বৃহৎ উৎসব। গোটা এক মাস রোজা পালন করার পর শাওয়াল মাসের প্রথম চাঁদ দেখে ঈদ পালন করেন তারা। সকাল সকাল নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন যেন আল্লাহ সকলকে সুখ , শান্তি ,সমৃদ্ধি তে পরিপূর্ণ করেন। ইসলামিক ধর্ম গ্রন্থ পুরান মতে, শাওয়াল মাসে যারা রোজা রেখে ঈদ পালন করেন তাদের নাকি আল্লাহ তালা নিজের হাতে পুরস্কৃত করেন। এদিন হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে সকলেই একে অপরকে আলিঙ্গন করে ভ্রাতৃত্ব বোধ কে জাগ্রুক করে তোলেন। শান্তি সম্প্রিতি বজায় রাখতে বদ্ধ পরিকর হন।
ত্রিপুরার গেদু মিঞা মসজিদে পালিত ঈদ
বৃহস্পতিবার গেদু মিঞা মসজিদ প্রাঙ্গণ তথা আগরতলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে দীর্ঘ একমাস রমজান পালন করার পর ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে । ঈদের নামাজ পড়েন মৌলানা আব্দুর রহমান । এদিন শহর আগরতলার হাজার হাজার ইসলামিক ভাইয়েরা ঈদগাহ ময়দানে উপস্থিত থেকে ঈদের নামাজ পড়েন। ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে রাজ্য ও দেশের সকল অংশের ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্র ও বিশ্ব বাসীর মঙ্গল কামনা করেন মৌলানা আব্দুর রহমান।