SIR Discussion Parliament : বিরোধী দের চাপে পরে এসআইআর নিয়ে সংসদে আলোচনায় রাজী হল মোদী সরকার। ১০ ঘণ্টা বরাদ্দ করা হয়েছে শুধু মাত্র এস আইআর প্রসঙ্গে আলোচনা করার জন্য। আগামী ৯ এবং ১০ই ডিসেম্বর হবে এসআইআর নিয়ে চুল চেরা বিশ্লেষণ।
ভারতের নির্বাচন কমিশন জবে থেকে এসআইআর প্রক্রিয়া চালু করেছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তবে থেকেই বিরোধী শিবির নানা ভাবে এই প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের প্রশ্ন তুলে ধরেছেন গণমাধ্যমে। তবে এবার প্রকাশ্য সংসদে এই নিয়ে বিশ্লেষণ এর দাবী তুলেছেন বিরোধী শিবির।
সোমবার ১লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ।প্রথম দিনেই বিরোধী শিবির এসআইআর নিয়ে আলোচনা শুরু করতে চায়। কিন্তু সরকার পক্ষ তাতে রাজী হয়না। পরে বিরোধীরা ঐক্য বদ্ধ ভাবে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে সংসদের ভেতরেই। যার জেরে সোমবারে বারবার মুলতুবি ঘোষিত হয় অধিবেশন।
মঙ্গলবার ২রা ডিসেম্বর অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেও একই অবস্থা হয়। এদিনও বারংবার মুলতুবি করে দিতে হয় অধিবেশন। বিরোধী শিবিরের তীব্র বিক্ষোভ এর মুখে পরে অবশেষে কিছুটা নমনিয়তা দেখায় শাসক সরকার। শেষ মুহূর্তে রাজী হন তারা এসআইআর নিয়ে আলোচনা করার জন্যে।
অতঃপর sir নিয়ে আলোচনা বাবদ দিন ক্ষণ নির্ধারিত হয়। আগামী ৯ এবং ১০ই ডিসেম্বর এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তবে তার আগে ৮ই ডিসেম্বর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। আর তার প্রসঙ্গটি হচ্ছে “ বন্দে মাতরম “। সংসদে কেন এই শ্লোগানে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে সেই নিয়ে পুরনাঙ্গ আলোচনা করবেন খোদ প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এর পরদিন অর্থাৎ ৯ এবং ১০ই ডিসেম্বর এসআইআর নিয়ে আলোচনা হবে। দুটি বিষয়ে আলোচনা বাবদ মোট ১০ ঘণ্টা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে এসআইআর এর আলোচনায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী অংশ নিচ্ছেন কিনা সেটা এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে যেখানে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই প্রক্রিয়া চলছে এবং আগামী দিনে নির্বাচন কে কেন্দ্র করে গোটা দেশ ব্যাপি এই প্রক্রিয়া চালানো হবে সেক্ষেত্রে এই আলোচনা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং জনস্বার্থে প্রয়োজনীয়।
আলোচনা পর্যালোচনা ক্রমে উভয় পক্ষ এসআইআর নিয়ে তাদের কি রায় কিংবা মতামত পেশ করছেন তা আগামী দিনে দেশের নাগরিক দের মনন চিন্তনে একটা গভীর প্রভাব বিস্তার করতে পারে এবং এসআইআর এর গ্রহন যোগ্যতা এবং স্বচ্ছতা নিয়েও বহু দ্বন্দ্বের হ্রাস টেনে দিতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।



