Khowai Eco Park : একসময় খোয়াই জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র ছিল বন বিথী ইকো পার্ক। সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মনোরম আবহে এই পার্কটি ত্রিপুরার পর্যটন মানচিত্রে বিশেষ স্থান দখল করেছিল। তবে দীর্ঘদিনের অবহেলা ও প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে আজ দুঃখজনকভাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বন বিথী ইকো পার্ক দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সাংবাদিকদের হাতে এ বিষয়ে নানা তথ্য পৌঁছালেও বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে তার স্পষ্ট প্রমাণ মেলে। পার্কের বিভিন্ন কোণে চলছিল এমন সব কর্মকাণ্ড, যা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত বহু ব্যক্তি দ্রুত সরে পড়ে।
পার্ক জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল নেশাজাতীয় দ্রব্যের চিহ্ন ও ব্যবহার্য সামগ্রী। সূত্রের দাবি, এখানে সক্রিয় রয়েছে একাধিক দেহব্যবসা ও সেক্স র্যাকেট চক্র, যারা রাজ্য ও বহিরাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে যুবতী ও অল্পবয়সী মহিলাদের এনে দিনের আলোতেই এই ব্যবসা চালাচ্ছে।
প্রতিদিন বহু পর্যটক এই পার্কে বেড়াতে আসেন। এদের অনেকেই সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তাঁরা জানান, পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এমন একটি স্থানে নিরাপত্তাহীনতার চিত্র অত্যন্ত হতাশাজনক।
পার্ক পরিদর্শনে দেখা যায়, নিরাপত্তার নামে নেই কোনো প্রহরী বা সিসিটিভি নজরদারি। কেবলমাত্র একজন সাধারণ কর্মচারী টিকিট বিক্রির দায়িত্বে আছেন। পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাছে জানতে চাইলে তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। খোয়াই ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁদের থেকেও স্পষ্ট কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় মানুষের আশঙ্কা, যে কোনো সময় পার্কে বড়সড় অপরাধ কিংবা বিপজ্জনক ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। সমাজের সচেতন মহল একযোগে দাবি তুলেছেন—বন বিথী ইকো পার্কের অবিলম্বে সংস্কার, নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাস এবং প্রশাসনিক নজরদারি নিশ্চিত করা হোক।



