20 years of Prison : ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলা আদালত এক নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় দৃষ্টান্তমূলক রায় ঘোষণা করেছে। ১৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে স্পেশাল বিচারক অমরেন্দ্র কুমার সিং অভিযুক্ত হরকুমার দেবনাথকে পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায় ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১১ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও চার মাসের জেল ভোগ করতে হবে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, কুমারঘাট থানার নয়দ্রোন এলাকার বাসিন্দা হরকুমারের স্ত্রী পেশায় গৃহশিক্ষিকা। তার কাছে নিয়মিত পড়তে আসত ষষ্ঠ শ্রেণির ১১ বছরের এক নাবালিকা। পড়াশোনার সময় গৃহশিক্ষিকা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকলে, সুযোগ নিয়ে হরকুমার একাধিকবার শিশুটিকে জোরপূর্বক শারীরিক নির্যাতন করে। প্রথম ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালের ২৭ জুন এবং দ্বিতীয়বার ৫ জুলাই।
শিশুটি পড়তে যেতে অস্বীকার করলে তার বাবা-মায়ের সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নাবালিকা ঘটনার বিস্তারিত জানায়। ৮ জুলাই শিশুটির বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ দ্রুত মামলা রুজু করে। মামলার তদন্তকারী ইন্সপেক্টর মন্দিরা দেবনাথ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন এবং চিকিৎসা পরীক্ষায় নির্যাতনের প্রমাণ মেলে। প্রায় তিন মাস জেল খাটার পর হরকুমার জামিনে মুক্তি পায়।
২০২৩ সালের ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। মামলার শুনানিতে ১২ জন সাক্ষী জবানবন্দি দেন, যাদের সবাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন।
সরকারি কৌঁসুলি সন্দীপ দেবরায় ও সুনির্মিল দেব জানান, আদালতের এই
রায় শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা হিসেবে কাজ করবে এবং সমাজে ন্যায়বিচারের আস্থা বাড়বে।
সমাজে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এক শক্তিশালী বার্তা। বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে যে আইন নাবালিকা নির্যাতনের মতো জঘন্য অপরাধের ক্ষেত্রে আপস করে না। এই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ভবিষ্যতে এমন অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।